এর আগে একই দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। কিন্তু শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয় এর মীমাংসা করতে হবে উচ্চ আদালতে। সেই নির্দেশ মেনেই হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছে তারা। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয় বৃহস্পতিবার।
ফাইল চিত্র।
বিজেপি-তে নেই মুকুল রায়। তাই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা হোক। খারিজ করা হোক পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান পদও। কারণ ওই পদ বিরোধীদের প্রাপ্য। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে হাই কোর্টে এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি-র আইনজীবী। এই নিয়ে বিধানসভার স্পিকার হলফনামাও তলব করেছে আদালত।
এর আগে একই দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। কিন্তু শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয় এর মীমাংসা করতে হবে উচ্চ আদালতে। সেই নির্দেশ মেনেই হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছে তারা। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয় বৃহস্পতিবার।
শুনানিতে বিজেপি-র আইনজীবী সিএম বৈদনাথন আদালতকে জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তাঁরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। যে হেতু মুকুল রায় বিজেপি-তে নেই তাই অবিলম্বে তাঁর বিধায়ক পদ এবং পিএসি-র চেয়ারম্যান পদ খারিজ করা হোক। আদালত আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে বিধানসভার অধ্যক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্য দিকে বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় পিএসি চেয়ারম্যানপদ খারিজের দাবি নিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন। দু’টি মামলাই বিচারপতি নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি বিআর গভাইয়ের বেঞ্চে ওঠে। বেঞ্চ নির্দেশ দেয় এক মাসের মধ্যে তার নিস্পত্তি করতে। কারণ পিএসি-র চেয়ারম্যানের মেয়াদ এক বছরের। সে দিক থেকে দেখলে আগামী তিন মাসের মধ্যেই মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে।
১১ ফেব্রুয়ারি কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের মামলায় রায় দেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আবেদন খারিজ করে তিনি জানান, মুকুল বিজেপি-তেই আছেন। তাই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা হচ্ছে না।