Haridebpur Murder case

মেয়ে-মা দু’জনেই পেতে চাইত আমার ছেলেকে, অয়ন একা কী করবে? প্রশ্ন পুত্রহারা বাবার

মা এবং মেয়ে দু’জনেই তাঁর ছেলেকে ভালবাসত। একটাই তো ছেলে। সে আর কী করবে? সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন হরিদেবপুর-কাণ্ডে নিহত অয়ন মণ্ডলের বাবা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২২ ১৩:৫১
Share:

ত্রিকোণ সম্পর্কের জেরে ছেলে খুন হয়েছে বলেই অয়নের বাবা দাবি করেছেন। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

মা এবং মেয়ে দু’জনেই তাঁর ছেলেকে ভালবাসত। একটাই তো ছেলে। সে আর কী করবে? সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই দাবি করলেন হরিদেবপুর-কাণ্ডে নিহত অয়ন মণ্ডলের বাবা।

Advertisement

অয়নের বাবা বলেন, ‘‘অয়নের বান্ধবীর বাবা জেনে যায় যে আমার ছেলের সঙ্গে ওঁর স্ত্রীরও সম্পর্ক রয়েছে, মেয়ের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। ভেবেছে ওকে যদি মেরে দিই তা হলে আমার সংসার সুখে থাকবে। এই কারণেই খুন করা হয়েছে। মা-ও আমার ছেলেকে ভালবাসে, মেয়েও আমার ছেলেকে ভালবাসে। আমার ছেলে কী করবে? একটাই তো ছেলে! এ বার কী করবে ছেলেটা? দু’জনকে একসঙ্গে কী করে চালাবে?’’

ত্রিকোণ সম্পর্কের জেরে অয়ন খুন হয়েছেন বলেই অয়নের বাবা দাবি করেছেন। এমনটা আগেই দাবি করেছিলেন অয়নের আর এক বন্ধুও।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত অয়ন-খুনের ঘটনায় পুলিশ মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছে।

শুক্রবার রাতেই নিহত অয়নের বান্ধবী, তাঁর মা রুমা জানা এবং ভাইকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। শনিবার সকালে বান্ধবীর বাবা দীপক জানা, বান্ধবীর ভাইয়ের এক বন্ধু এবং পণ্যবাহী গাড়ির চালককে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার বেলা বাড়তে অয়নের বান্ধবীর ভাইয়ের আরও এক বন্ধুকে ওড়িশার জাজপুর থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। অভিযুক্তদের শনিবারই আদালতে তোলা হবে বলেও খবর।

একই সঙ্গে ধৃতদের পাশাপাশি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে, দশমীর রাতে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান অয়ন। মত্ত অবস্থায় তিনি বান্ধবীর হরিদেবপুরের নতুনপল্লির বাড়িতে পৌঁছে বান্ধবী এবং তাঁর মা রুমাকে হেনস্থা করেন, এমনই উল্লেখ রয়েছে পুলিশি রিপোর্টে। দিদি এবং মাকে হেনস্থা হতে দেখে বান্ধবীরই কিশোর ভাই ইট জাতীয় কোনও ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে অয়নকে খুন করে। পরে বান্ধবীর বাবা দীপক ঘটনাস্থলে পৌঁছন। অয়নের বান্ধবীর ভাইদের সঙ্গে যোগসাজশ করে অয়নের মৃতদেহ পাচার করার জন্য ভাড়া করা হয় একটি পণ্যবাহী গাড়ি। এর পরই মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে মগরাহাটের করিমাবাদে ফেলে দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকেই পুলিশ অয়নের মৃতদেহ উদ্ধার করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement