নিহত অয়ন মণ্ডল। ফাইল চিত্র ।
হরিদেবপুরের ঘটনায় বাড়ল গ্রেফতারের সংখ্যা। নিহত অয়ন মণ্ডলের বান্ধবী এবং বান্ধবীর মা এবং বান্ধবীর ভাইকে শুক্রবার রাতেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এ বার গ্রেফতার করা হল বান্ধবীর বাবা, বান্ধবীর ভাইয়ের এক বন্ধু এবং এক পণ্যবাহী গাড়ির চালককে। খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই গাড়িচালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছিল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবারই তাঁদের আদালতে তোলা হবে। সূত্রের খবর, ত্রিকোণ সম্পর্কের জেরে খুন হয়ে থাকতে পারেন অয়ন। অয়নের এক বন্ধুর দাবি, বান্ধবী এবং বান্ধবীর মায়ের সঙ্গেও নাকি সম্পর্ক ছিল অয়নের। পরে যে সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেন অয়নের বান্ধবীর বাবা। এই দাবির সত্যতা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দশমীর দিন রাতে অয়নের বান্ধবীর হরিদেবপুরের নতুনপল্লির বাড়িতেই ইট জাতীয় কোনও ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে অয়নকে খুন করা হয়। খুনের পর তাঁর মৃতদেহ পাচার করার জন্য ওই পণ্যবাহী গাড়ি ভাড়া করা হয়। অয়নের বান্ধবীর পরিবারের লোকজন ওই গাড়ির চালককে বলেন, কিছু জিনিসপত্র তাঁরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাবেন। এর পর ওই গাড়ির চালক কুঁদঘাট থেকে গাড়ি নিয়ে হরিদেবপুরে পৌঁছন। গাড়িতে মৃতদেহ তোলা হচ্ছে বুঝতে পেরে ওই গাড়ির চালক তা নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন। কিন্তু পরে টাকার লোভে রাজি হয়ে যান বলেই সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, দশমীর রাতে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে বাড়ি থেকে বেরোন অয়ন। তার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরে মগরাহাট থেকে অয়নের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
তদন্তে নেমে পুলিশের সন্দেহ যায় অয়নের বান্ধবী এবং তাঁর পরিবারের দিকে। তদন্ত চলাকালীন এক এক করে বান্ধবী-সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অয়নকে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছেন হরিদেবপুরের এলাকাবাসী। শুক্রবার রাত ৮টার পর উত্তেজিত জনতা অয়নের বান্ধবীর বাড়িতে চড়াও হয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। উত্তেজনার রেশ গিয়ে পড়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে। সেখানেও ভাঙচুর চালানো হয়। লুটপাট চালানো হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।