অয়নের বান্ধবীর ভাইয়ের এই বন্ধুকে গ্রেফতারের পর ধৃতদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত। ফাইল চিত্র ।
অয়ন মণ্ডল খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল আরও এক জনকে। খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অয়নের বান্ধবীর ভাইয়ের আরও এক বন্ধুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্ত শুরুর পরই অয়নের বান্ধবীর ভাইয়ের এই বন্ধু ওড়িশার জাজপুরে পালিয়ে যায়। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অয়নের বান্ধবীর ভাইয়ের এই বন্ধু, অন্য এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে দু’হাজার টাকার বিনিময়ে কুঁদঘাট থেকে একটি ‘ছোটো হাতি’ ভাড়া করে। সেই গাড়ি করেই মগরাহাটে নিয়ে যাওয়া হয় অয়নের মৃতদেহ। অয়নের বান্ধবীর ভাইয়ের এই বন্ধুকে গ্রেফতারের পর ধৃতদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতেই নিহত অয়নের বান্ধবী, তাঁর মা রুমা জানা এবং ভাইকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এর পর শনিবার সকালে বান্ধবীর বাবা দীপক জানা, বান্ধবীর ভাইয়ের এক বন্ধু এবং পণ্যবাহী গাড়ির চালককে গ্রেফতার করা হয়। শনিবারই তাঁদের আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, দশমীর রাতে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন অয়ন। মত্ত অবস্থায় তিনি বান্ধবীর বাড়িতে পৌঁছন। ওই রাতেই বান্ধবীর হরিদেবপুরের নতুনপল্লির বাড়িতে ইট জাতীয় কোনও ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে অয়নকে খুন করা হয়। দিদি এবং মাকে হেনস্থা করার জন্য তাঁদের কথা মেনে অয়নের মাথায় আঘাত করে বান্ধবীরই কিশোর ভাই, এমনই উল্লেখ পুলিশি রিপোর্টে। খুনের পর তাঁর মৃতদেহ পাচার করার জন্য পণ্যবাহী গাড়ি ভাড়া করা হয়। এর পরই অয়নের মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে মগরাহাটের কাটপোলের কাছে করিমাবাদে ফেলে দেওয়া হয়। মগরাহাটের ওই জায়গা থেকেই পরে পুলিশ অয়নের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
তদন্তে নেমে পুলিশের সন্দেহ যায় অয়নের বান্ধবী এবং তাঁর পরিবারের দিকে। তদন্ত চলাকালীন এক এক করে বান্ধবী-সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অয়নের এক বন্ধু দাবি করেছেন, ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অয়ন। বান্ধবী এবং তাঁর মায়ের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল বলে দাবি। সেখান থেকে জটিলতার জেরে এই খুন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।