(বাঁ দিকে) পুলিশের গুলিতে নিহত সাজ্জাক আলম। কলকাতা হাই কোর্ট (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে পুলিশকে গুলি করে পলাতক বন্দি সাজ্জাক আলমের ‘এনকাউন্টার’ নিয়ে এ বার মামলা দায়ের করা হল কলকাতা হাই কোর্টে। সোমবার এই ঘটনায় আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
খুনের মামলায় বিচারাধীন ছিলেন সাজ্জাক। গত বুধবার তাঁকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে জেলে ফেরানোর সময়ে আচমকা পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন সাজ্জাক। দু’জন পুলিশকর্মীকে জখম করে আদালত চত্বর থেকেই পালিয়ে যান বন্দি। তার পর শনিবার ভোরে চোপড়ার বাংলাদেশ সীমান্তে পুলিশের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়। রাজ্য পুলিশের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়, গোপন সূত্রে তারা জানতে পেরেছিল, অভিযুক্ত বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করছেন। সেই অনুযায়ী চোপড়া সীমান্ত থেকে তাঁকে ধরা হয়। কিন্তু পুলিশকে লক্ষ্য করে সেখানেও গুলি ছোড়েন সাজ্জাক। তার পরেই পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় অভিযুক্তের।
সাজ্জাকের শরীরে মোট তিনটি গুলি লেগেছিল। বাঁ কাঁধে, পিঠে এবং পায়ে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকেরা তাঁকে বাঁচাতে পারেননি। এই ঘটনার দু’দিন আগেই জখম দুই পুলিশকর্মীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পুলিশের উপর এই ধরনের হামলা বরদাস্ত করা হবে না। পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ করবে। পুলিশের দিকে কেউ একটা গুলি চালালে পুলিশ পাল্টা চারটে গুলি চালাবে বলেও জানান রাজীব। তাঁর ওই মন্তব্যের সঙ্গে শনিবারের ‘এনকাউন্টার’-এর যোগ খুঁজছেন অনেকেই। তার মাঝেই সোমবার হাই কোর্টে এই ‘এনকাউন্টার’ নিয়ে মামলা করা হল।
আদালতে মামলাটি করেছেন আইনজীবী তাপস ভঞ্জ। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, অতিরিক্ত হলফনামা দিয়ে ওই বিষয়ে নির্দিষ্ট বেঞ্চে আবেদন জানানো যাবে। চলতি সপ্তাহে ওই মামলার শুনানির সম্ভবনা।