Firing at Cops in North Dinajpur

পুলিশের গুলিতে নিহত গোয়ালপোখরকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সাজ্জাক আলম, সীমান্তে ‘এনকাউন্টার’

গোয়ালপোখরে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাজ্জাক আলম নিহত। পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। শনিবার সকালে পালানোর চেষ্টা করার সময়ে তাঁকে আটকাতে গুলি চালায় পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:১১
Share:

চোপড়া সীমান্তে এনকাউন্টারে নিহত সাজ্জাক আলম। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আদালত থেকে জেলে ফেরার পথে গোয়ালপোখরে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাজ্জাক আলম নিহত। পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে খুনের মামলায় বিচারাধীন সাজ্জাকের। শনিবার সকালে চোপড়া সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করার সময়ে তাঁকে আটকাতে গুলি চালায় পুলিশ। অভিযোগ, বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করছিলেন সাজ্জাক।

Advertisement

সাজ্জাকের গায়ে তিনটি গুলি লেগেছিল। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাজ্জাককে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। গুলি লেগেছিল তাঁর বাঁ কাঁধে, পিঠে এবং পায়ে। চিকিৎসা শুরুর পরেই তাঁর মৃত্যু হয়। শনিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিট নাগাদ তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

সাজ্জাক একটি খুনের মামলায় বিচারাধীন আসামি ছিলেন। গত বুধবার তাঁকে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে আবার জেলে ফেরানোর সময়ে সাজ্জাক কর্তব্যরত দুই পুলিশকর্মীকে গুলি করে পালান। আদালত চত্বরে বিচারাধীন বন্দি কোথা থেকে পিস্তল পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ওই দুই পুলিশকর্মীকে দেখতে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সেখান থেকে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ‘‘এর জবাব আমরা দেব। আমরা সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। কিন্তু পুলিশ ফোর্সের উপরে কেউ একটা গুলি চালালে আমরা চারটে গুলি চালাব।’’

Advertisement

বুধবার আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর সাজ্জাকের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁর সন্ধান দিতে পারলে পুলিশ দু’লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল। সাজ্জাকের আরও এক সঙ্গী আব্দুলকেও খুঁজছিল পুলিশ। তিনি সাজ্জাককে পালাতে সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। এখনও তাঁর খোঁজ মেলেনি।

জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার ভোরে চোপড়া সীমান্তে পৌঁছয় উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশের একটি দল। সেখান থেকে সাজ্জাককে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পুলিশের হাত ছাড়িয়ে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement