Firing at Cops in North Dinajpur

পুলিশকে গুলি করার জন্য সাজ্জাককে বন্দুক জোগান দেন, গোয়ালপোখরকাণ্ডে গ্রেফতার শেখ হজরত

বাংলাদেশ পালানোর সময় পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় সাজ্জাকের। প্রশ্ন উঠেছিল, খুনের মামলার আসামি জেলের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র পেলেন কী করে?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:১৫
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরকাণ্ডে এক অভিযুক্তকে পাকড়াও করল পুলিশ। ধৃতের নাম শেখ হজরত। পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশের উপর গুলি চালানোর জন্য তিনিই আসামি সাজ্জাক আলমের হাতে বন্দুক তুলে দিয়েছিলেন।

Advertisement

শনিবার ভোরে বাংলাদেশ পালানোর সময় পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় সাজ্জাকের। প্রশ্ন উঠেছিল, খুনের মামলার আসামি জেলের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র পেলেন কী করে? তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে গত বুধবার সাজ্জাক আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছিলেন ইসলামপুর আদালত চত্বরেই। জানা যায়, বছর ২৪-এর ওই আসামির হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দেন শেখ হজরতই। রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক তাঁকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

শেখ হজরতের বাড়ি গোয়ালপোখর থানার বলদিয়াভাষা এলাকায়। তবে আব্দুল হুসেন নামে আরও এক জন এই ঘটনায় যুক্ত। তাঁর খোঁজ এখনও চলছে।

Advertisement

করণদিঘি থানার ছোটসোহার গ্রামের বাসিন্দা সাজ্জাক। ২০১৯ সালে দুর্গাপুজোর নবমীর দিন সুরেশ দাস নামে এক জনকে খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন ওই যুবক। স্থানীয় সূত্রের খবর, ছোট থেকেই নানা অপরাধমূলক কাজে হাত পাকিয়েছিলেন তিনি। তবে ২০১৯ সালে ওই খুনের ঘটনার আগেই সাজ্জাককে গ্রামছাড়া করেন স্থানীয়েরা। গ্রামের বাড়িতে ছিলেন তাঁর বাবা-মা। সাজ্জাকের মৃত্যুর খবর গ্রামের বাসিন্দারা পাওয়ার পর পুলিশকে সাধুবাদ জানান। অন্য দিকে, পলাতক আব্দুল বাংলাদেশি দুষ্কৃতী। এই পুরো কাণ্ডে শেখ হজরতের কী কী ভূমিকা ছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement