(বাঁ দিকে) মহারাষ্ট্র পুলিশ এবং বদলাপুরকাণ্ডে অভিযুক্ত অক্ষয় শিন্ডে। —ফাইল চিত্র।
বদলাপুরকাণ্ডে পুলিশি হেফাজতে অভিযুক্তের মৃত্যুর তদন্তে প্রশ্ন উঠেছে পাঁচ পুলিশকর্মীর ভূমিকায়। সোমবার মুখবন্ধ খামে তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে বম্বে হাই কোর্টে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, তদন্তে উঠে এসেছে ঠাণে পুলিশের অপরাধদমন শাখার সিনিয়র ইনস্পেক্টর সঞ্জয় শিন্ডে, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইনস্পেক্টর নীলেশ মোরে, দুই হেড কনস্টেবল অভিজিৎ মোরে, হরিশ তাওড়ে এবং পুলিশের এক গাড়ি চালকের নাম। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করার প্রস্তাব দিয়েছে হাই কোর্ট।
বদলাপুরের ঘটনায় অভিযুক্তকে ভুয়ো এনকাউন্টারে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তাঁর বাবা। বম্বে হাই কোর্টে এ নিয়ে মামলাও করেন তিনি। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এনকাউন্টারের ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। সোমবার হাই কোর্টের বিচারপতি রেবতীমোহন দেরে এবং বিচারপতি নীলাকেদার গোখলের বেঞ্চে অনুসন্ধান রিপোর্ট জমা পড়ে। আগ্নেয়াস্ত্রে অভিযুক্তের আঙুলের ছাপ পাওয়া যায়নি বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে। রিপোর্টে ইঙ্গিত করা হয়েছে, উপস্থিত পুলিশকর্মীরা বলপ্রয়োগ না করেই পরিস্থিতি সহজে সামাল দিতে পারতেন। ভুয়ো এনকাউন্টারের তত্ত্বও উড়িয়ে দিচ্ছে না অনুসন্ধান রিপোর্ট।
গত বছরের অগস্টে মহারাষ্ট্রের বদলাপুরে এক নার্সারি স্কুলে দুই খুদে পড়ুয়াকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে স্কুলেরই সাফাইকর্মীর বিরুদ্ধে। তা নিয়ে তোলপাড় হয় বদলাপুর। গঠিত হয় বিশেষ তদন্তকারী দল। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় অভিযুক্ত সাফাইকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পৃথক একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তকে তালোজা জেলে নিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। সেখান থেকে নিয়ে ফেরার সময় মাঝপথেই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় অভিযুক্তের। ঘটনার পর পুলিশ জানায়, তালোজা জেল থেকে ফেরার সময় এক কনস্টেবলের বন্দুক ছিনিয়ে নেন অভিযুক্ত। কনস্টেবলকে লক্ষ্য করে গুলিও চালান তিনি। সেই সময় পুলিশের পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয় অভিযুক্তের।