Suvendu Adhikari

শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত অভিযোগের কেস ডায়েরি চাই! হাই কোর্টের নির্দেশ পুলিশকে

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২৬টি মামলারই কেস ডায়েরি চেয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ওই ২৬টি মামলায় শুভেন্দুকে ‘রক্ষাকবচ’ দিয়ে রেখেছে কলকাতা হাই কোর্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪ ১৪:০৪
Share:

শুভেন্দু অধিকারী। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত অভিযোগের কেস ডায়েরি দেখতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের তরফে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশকে। ওই সমস্ত অভিযোগের নথিপত্র জমা দেওয়ার জন্য ৮ অগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে আদালত।

Advertisement

রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আপাতত ২৬টি অভিযোগ রয়েছে পুলিশের কাছে। ওই ২৬টি মামলায় তাঁকে এর আগে ‘রক্ষাকবচ’ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ওই ২৬টি মামলারই কেস ডায়েরি চেয়েছেন। একই সঙ্গে, ওই মামলাগুলিতে দেওয়া অন্তর্বর্তী নির্দেশে শুভেন্দুকে যে ‘রক্ষাকবচ’ দেওয়া হয়েছিল, তা-ও বহাল রেখেছে হাই কোর্ট।

শুভেন্দুকে ওই রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর অন্তর্বর্তী নির্দেশের জেরেই কয়েক মাস আগের ‘খলিস্তানি’ বিতর্কে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চেয়েও তা করতে পারেনি রাজ্য। বৃহস্পতিবারের নির্দেশের পরে অনেকেই মনে করছেন, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে হাই কোর্ট। ২০২২ সালেই তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একের পর এক এফআইআরের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আর্জি জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। আদালতের কাছে তাঁর আবেদন ছিল, দলবদল করার পরে তাঁর বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছাকৃত’ ভাবে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। তাই হয় ওই এফআইআরগুলি খারিজ করে দেওয়া হোক, নয়তো ওই সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ ছিল, শুভেন্দু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি মানুষের ভোটে নির্বাচিত। পুলিশ নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনে জনগণের প্রতি বিরোধী দলনেতার কর্তব্য আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

Advertisement

ওই যুক্তিতেই ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২৬টি এফআইআরের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি মান্থা। একই সঙ্গে বিস্ময়প্রকাশ করে শুভেন্দুকে আদালত ‘রক্ষাকবচ’ দেওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে আবার তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল, সেই বিষয়েও বলেন। সেই সময়েই বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, আদালতের অনুমতি ছাড়া নতুন করে কোনও এফআইআর দায়ের করা যাবে না শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সেনগুপ্তও বিচারপতি মান্থার দেওয়া সেই নির্দেশ বহাল রেখেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement