Mukesh Sahani Father Killed

কেন খুন বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী মুকেশ সাহানির বাবা? ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত ধরা পড়তেই রহস্যভেদ

জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন রাত ১০টা নাগাদ কয়েক জন সঙ্গীকে নিয়ে জিতেনের বাড়ির আশপাশ রেকি করেন আনসারি। রাত দেড়টা নগাদ সঙ্গীদের নিয়ে জিতেনের বাড়ির পিছন দিয়ে ঢোকেন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪ ১৩:২৭
Share:

(বাঁ দিকে) ভিআইপি নেতা মুকেশ সাহানি। মুকেশের বাবা জিতেন সাহানি (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিকাশশীল ইনসান পার্টির (ভিআইপি) প্রধান মুকেশ সাহানির বাবা খুনের ঘটনায় বুধবার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মূল অভিযুক্তের নাম কাজ়িম আনসারি। তিনি সুপোল বাজার এলাকার বাসিন্দা। ঘটনাচক্রে, এই এলাকাতেই থাকতেন মুকেশের বাবা জিতেন সাহানি।

Advertisement

কেন মুকেশের বাবাকে খুন করা হল? পুলিশ জানিয়েছে, মূল অভিযুক্তকে জেরা করার সময় তিনি দাবি করেছেন, জিতেনের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন প্রতি মাসে ৪ শতাংশ সুদের হারে। তার পরিবর্তে জমি বন্ধক রাখতে হয়েছিল জিতেনের কাছে। কিন্তু সুদ এবং আসলের কোনও টাকাই ঠিক মতো শোধ করতে পারছিলেন না আনসারি। ফলে জমিও ছাড়িয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না।

পুলিশের কাছে আনসারি আরও দাবি করেছেন, গত ১২ জুলাই তাঁর এক সঙ্গীকে নিয়ে জিতেনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। আনসারির দাবি, সুদের টাকা কম করার জন্য এবং জমির নথিপত্র ফেরত দেওয়ার জন্য জিতেনের কাছে অনুরোধ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু জিতেন টাকা কমানো এবং জমির নথিপত্র ফেরত দিতেও অস্বীকার করেন। ফলে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। নিজের জমি ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন আনসারি।

Advertisement

জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন রাত ১০টা নাগাদ কয়েক জন সঙ্গীকে নিয়ে জিতেনের বাড়ির আশপাশ রেকি করেন আনসারি। রাত দেড়টা নগাদ সঙ্গীদের নিয়ে জিতেনের বাড়ির পিছন দিয়ে ঢোকেন তাঁরা। পিছনের দিকের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল না। ফলে সহজেই ঢুকে পড়তে পেরেছিলেন আনসারিরা। তার পরই ঘুমের মধ্যেই জিতেন কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তার পর ঘরের রাখা আলমারির চাবি খোঁজেন। না পেয়ে কাঠের আলমারি তুলে নিয়ে গিয়ে কাছেরই একটি পুকুরে ফেলে দেন যাতে জমির নথিগুলি নষ্ট হয়ে যায়। যদিও ভিআইপি নেতা মুকেশ তাঁর বাবার সুদের কারবারের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement