Madarihat Bye Election

‘দুর্গ’ মাদারিহাটেও হারতে হল! রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট পাঠালেন টিগ্গা

গত লোকসভা নির্বাচনে মাদারিহাট আসন থেকে ১১ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী মনোজ। সেই কেন্দ্রেই উপনির্বাচনে হারতে হয়েছে ২৮ হাজার ১৬৮ ভোটে!

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৪৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

বিজেপির দুর্গ মাদারিহাটে পদ্মপ্রার্থীকে কেন হারতে হল উপনির্বাচনে, এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দলকে রিপোর্ট দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা। শনিবার রাজ্যের ছয় বিধানসভা উপনির্বাচনে জয় পেয়েছে তৃণমূল। গত লোকসভা নির্বাচনে এই ছয় বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়কেরা সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় এই উপনির্বাচন হয়। এই ছ’টি আসনের মধ্যে কেবলমাত্র মাদারিহাট ছিল বিজেপির দখলে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রবল ঝড়ে বিজেপি যে তিনটি আসনে জয় পেয়েছিল, তার একটি ছিল মাদারিহাট। সে বার খড়্গপুর সদর আসনে বিজেপির তৎকালীন সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বৈষ্ণবনগরে স্বাধীন সরকারের সঙ্গে মাদারিহাট থেকে ভোটে জিতে বিধানসভার সদস্য হয়েছিলেন বর্তমানে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ মনোজ। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও ওই আসন থেকে জয় পেয়েছিলেন তিনি। ঘটনাচক্রে, সাংসদ মনোজই বর্তমানে বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলার সভাপতি। তাই এই হারে প্রশ্নের মুখে পড়েছে তাঁর নেতৃত্ব।

Advertisement

এমন একটি আসন হাতছাড়া হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই ‘হতাশ’ বঙ্গ বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচনে মাদারিহাট আসন থেকে ১১ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী মনোজ। সেই কেন্দ্রেই উপনির্বাচনে হারতে হয়েছে ২৮ হাজার ১৬৮ ভোটে! মনোজ বলেছেন, ‘‘আমি দলকে হারের বিষয়ে জানিয়েছি। এ ছাড়াও কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে এই নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন। তিনিও তাঁর মতো করে পরাজয়ের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। এ বিষয়ে আমরা প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করব না।’’ প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ার লোকসভার অধীন এই আসনটি উপনির্বাচনে বিজেপির কাছে ছিল একমাত্র আশার আলো। তাই পরাজিত হয়ে কিছুটা মুষড়ে পড়েছেন আলিপুরদুয়ার লোকসভা এলাকার বিজেপি কর্মীরা।

রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, কী ভাবে শাসকদল তৃণমূল পেশিশক্তি ব্যবহার করে বিজেপির ভোটারদের ভোট দিতে দেয়নি। পাশাপাশি পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ভোট লুট করারও কৌশলও ব্যবহার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই এই বিরাট ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহারকে হারতে হয়েছে তৃণমূলের জয়প্রকাশ টোপ্পোর কাছে। বিজেপি সূত্রে খবর, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে ফের পদ্মফুল ফোটানো সম্ভব বলেই ওই রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন বিজেপি সাংসদ। এ ক্ষেত্রে রাজ্য বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে জয় পেয়েছিল তৃণমূল। সেই নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়কে ৪ হাজার ৩০৯ ভোটে হারিয়ে জয়ী হন তৃণমূলের নির্মলচন্দ্র রায়। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনে সেই নির্মলচন্দ্রকে তৃণমূল ফের প্রার্থী বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়ের কাছে পরাজিত হন তিনি। সে বার ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত তৃণমূল প্রার্থী নির্মলের থেকে ৬ হাজার ৩২৯ ভোটে এগিয়ে গিয়েছিলেন। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে আলিপুরদুয়ার লোকসভা এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মাদারিহাট কেন্দ্র ফিরে পাবেন বলে আশা করছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement