দেহরাদূনের রাস্তায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই গাড়ি। —ফাইল চিত্র।
দু’জনের মাথা ধড় থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল দেহরাদূনের দুর্ঘটনায়। মৃত্যু হয়েছিল মোট ছ’জনের। সেই দৃশ্য দেখে ভয়েই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন ট্রাকচালক। গ্রেফতারির পর এমনটাই পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে ঘটনার দিন ঠিক কী কী হয়েছিল, তা-ও জানিয়েছেন। তাঁকে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা এবং পুলিশকে না জানিয়ে অন্তর্হিত হওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ১১ নভেম্বর দেহরাদূনে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি এমইউভি গাড়ি। তাতে সাত জন ছিলেন। দুর্ঘটনায় ছ’জনেরই মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই ছাত্রছাত্রী। মৃতদের মধ্যে দু’জনের ধড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল দুর্ঘটনার অভিঘাতে। তাঁদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাকে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই সেই ট্রাকের চালক পলাতক ছিলেন। শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দুর্ঘটনার পর নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে দিয়েছিলেন ট্রাকচালক। ট্রাকের রেজিস্ট্রেশন প্লেটও খুলে নিয়েছিলেন। সেই থেকে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। ধরা পড়ার পর তিনি জানিয়েছেন, সে দিন দুর্ঘটনা ঠেকাতে তাঁর আদৌ কিছু করার ছিল না। পিছন দিক থেকে গাড়িটি এসে তাঁর ট্রাকে ধাক্কা মারে। কিন্তু এই ধরনের ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে বড় গাড়ির চালককেই দোষারোপ করা হয়ে থাকে, দাবি তাঁর। সেই ভেবেই তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন।
ট্রাকচালক তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর তিনি ট্রাক থেকে নীচে নেমেছিলেন। তুবড়ে যাওয়া গাড়ি, তার ভিতরে একাধিক রক্তাক্ত দেহ দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তখনই তাঁর চোখে পড়েছিল, দু’জনের ধড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সেই দৃশ্য দেখে আর ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেননি, জানিয়েছেন ট্রাকচালক। দ্রুত ট্রাকের রেজিস্ট্রেশন প্লেট খুলে নিয়ে পালান তিনি।
এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দুর্ঘটনার মুহূর্ত ধরা পড়েছে। তা খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে চালানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু ট্রাকটি ছিল স্বাভাবিক গতিতেই। ওই দুর্ঘটনার পর বেঁচে ফিরেছেন এক জনই, তিনি ওই গাড়ির চালক। তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখনও তিনি ভাল করে কথা বলতে পারছেন না।