পুলিশ সূত্রে খবর, এক মহিলার শ্লীলতাহানি এবং তাঁর পেটে লাথি মেরে তাঁর গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। —প্রতীকী চিত্র।
হঠাৎই ঘরে ঢুকে পড়েছিল কয়েক জন দুষ্কৃতী। বাড়ির মালকিনের শ্লীলতাহানি করে তারা। গর্ভস্থ সন্তানের জন্য হাতজোড় করে রেহাই চেয়েছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু মেলেনি। তাঁর পেটে লাথি মারে পালিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। সেই ঘটনার প্রায় ২ বছর পর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের রায়নার ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, এক মহিলার শ্লীলতাহানি এবং তাঁর পেটে লাথি মেরে তাঁর গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম শেখ সোনু ওরফে তফিজুল ইসলাম। মাধবডিহি থানার কামারহাটিতে তাঁর বাড়ি। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ২০২০ সালের ১৭ এপ্রিল রাতের। ওই দিন কয়েকজন যুবক জোর করে এক মহিলার বাড়িতে ঢুকে পড়েন। তাঁকে কটু কথা বলা হয়। শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। হামলাকারীদের মধ্যে একজন মহিলার পেটে লাথি মারেন। সেই সময় তিনি ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে শুরু করেন তিনি।
পরে তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার চার দিন পর, ২২ এপ্রিল মৃত শিশু প্রসব করেন ওই মহিলা।
এর পর নিজেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। তদন্ত সম্পূর্ণ করে ২০২০ সালে ৬ জুলাই ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁদের পলাতক বলে দেখানো হয় চার্জশিটে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করে প্রায় ২ বছর পর সোনু নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার ধৃতকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে তোলা হয়। তবে বিচারক তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক বলে খবর।