ছেলেকে স্কুলে দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে লরির চাকায় পিষ্ট মা। — নিজস্ব চিত্র।
ছেলেকে স্কুলে দিয়ে ফেরার পথে লরির ধাক্কা বাইকে। সেই লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল মায়ের। গুরুতর আহত ছাত্রের বাবা। ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ। প্রশাসন সতর্ক থাকলে এই ঘটনা এড়ানো যেত, দাবি মৃতের পরিবারের। তাঁদের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর দু’দিন খুব নিয়ম কড়াকড়ি করা হবে, তার পর থেকে যে কে সেই!
মঙ্গলবার সকালে বনগাঁ ছয়ঘরিয়া সেন্ট জোসেফ স্কুলে ছেলেকে দিয়ে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন বনগাঁ শিমুলতলার বাসিন্দা সৌমেন পাল এবং তাঁর স্ত্রী শ্রাবণী। সেই সময় ছয়ঘরিয়া এলাকায় যশোর রোডের উপরে পিছন থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসা একটি লরি ধাক্কা দেয় বাইকে। তার পর লরির চাকা পিষে দেয় শ্রাবণীকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শ্রাবণীর। গুরুতর আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি স্বামী সৌমেন। এই ঘটনা নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পরিবারের দাবি এর আগেও একাধিকবার বনগাঁর এই এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে, কিন্তু কোনও হুঁশ নেই প্রশাসনের।
সৌমেনের দাদা শুভাশিস পাল বলেন, ‘‘সকাল থেকে অনিয়ম শুরু হয়ে যায়। বাচ্চারা স্কুলে যায়, কিন্তু পুলিশের কোনও হুঁশ নেই। আজ যখন দুর্ঘটনা ঘটল তখন কারও দেখা নেই। পুলিশ-প্রশাসনের যেন কোনও দায়িত্বই নেই! আমার পরিবারটা যে শেষ হয়ে গেল, তার সমস্ত দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনকে নিতে হবে। তাদের গাফিলতির কারণেই আমার ভাইপোটা মাকে হারাল।’’ সৌমেনের ভাইপো বলেন, ‘‘সকালে কাকু আর কাকিমা ভাইকে স্কুলে দিতে গিয়েছিল। রোজই এ রকম যায়। কিন্তু আজ কী ঘটে গেল! এখানে সরু রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ভাল ভাবে হয় না। তারই মাসুল দিতে হল কাকিমাকে। ছোট ভাইটাকে কী করে সামলাব?’’