—প্রতীকী ছবি।
স্ত্রীকে খুন করে খালের জলে ফেলে থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি স্বামীর। তার পর নিজেও বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা স্বামীর। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রীকে খুন করে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলেন স্বামী। তার পর সেই টুকরো ছড়িয়ে দেন খালের জলে। যাতে কারও সন্দেহ না হয় সে জন্য মধ্যমগ্রাম থানায় লিখিত ভাবে স্ত্রীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগও জানান বছর ৫৫-এর নুরউদ্দিন মণ্ডল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পুলিশি তদন্ত খানিকটা এগোতেই তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন, নুরউদ্দিন নিজেই স্ত্রীকে খুন করেছেন। তার পর দেহকে কয়েক টুকরো করে মধ্যমগ্রাম থানার রোহান্ডার খালের জলে ছড়িয়ে দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অনুমান, ধরা পড়ে যাবেন আঁচ করতে পেরে নিজেও বিষ খান নুরউদ্দিন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আপাতত আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। পুলিশ খাল থেকে মৃত মহিলার দেহের কিছু অংশ উদ্ধার করেছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে। নুরউদ্দিনের শারীরিক অবস্থা একটু স্থিতিশীল হলেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এই ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০২২ সালের শ্রদ্ধা-আফতাবের ঘটনার কথা। সে বছর ১৮ মে দিল্লির মেহরৌলিতে একত্রবাসে থাকা প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে খুন করেন আফতাব। আমেরিকার একটি ওয়েব সিরিজ় থেকে অনুপ্রেরিত হয়ে শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে ফেলেন আফতাব। দেহ সংরক্ষণ করে রাখতে নতুন ফ্রিজ়ও কেনেন। এর পর ১৮ দিন ধরে মেহরৌলির জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলি ছড়িয়ে দিয়ে আসতেন অভিযুক্ত আফতাব।