একের পর এক বাজি কারখানা এবং গুদামে বিস্ফোরণ ও প্রাণহানির ঘটনার পর রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে পুলিশি অভিযান। প্রতীকী চিত্র।
একের পর এক বাজি কারখানা এবং গুদামে বিস্ফোরণ ও প্রাণহানির ঘটনার পর রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে পুলিশি অভিযান। বাজি, বাজির মশলা বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। এরই মাঝে শনিবার, ‘সেভ ডেমোক্রেসি’র রাজ্য নেতা চঞ্চল চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের এক প্রতিনিধি দল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখলেন।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথাও বলেছেন ওই দলের সদস্যেরা। চঞ্চল বলেন, “আমরা বাজি বানানো বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে নই। কলকাতা হাইকোর্টের রায় এবং জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায় অনুসরণ করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা যাতে বলবৎ করা যায় সরকার তা সুনিশ্চিত করুক।” তাঁর দাবি, বাজি শিল্পী এবং শিল্পকে সঠিক মর্যাদা দিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে আনা হোক।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলার সময় ওই প্রতিনিধি দল বাজি খোঁজার নামে পুলিশি বাড়াবাড়ি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
গত কয়েক দিনে আগে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ এবং মালদহের ইংরেজবাজারে বাজি কারখানা ও গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে।
বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের ফলতা, মগরাহাট-সহ পুরসভা এলাকার বৈধ বাজি কারবারিরা বাজি তৈরির মশলা তুলে দেন পুলিশের হাতে। পাশাপাশি বাজি তৈরির পেশা ছেড়ে ভিন্ন রোজগারের পন্থার জন্য পুলিশের কাছে আর্জি জানান তাঁরা।