ব্যারাকপুরে বন্ধ। — নিজস্ব চিত্র।
ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীতে সোনার দোকানে ডাকাতি এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার এলাকায় ২৪ ঘণ্টার বন্ধ। বন্ধের ডাক দিয়েছে ব্যারাকপুর স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতি। শনিবার স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা মিছিল করেন। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার দাবিতে তাঁরা স্মারকলিপি জমা দেন ব্যারাকপুর কমিশনারেটে।
শনিবার সকাল থেকেই বন্ধ ব্যারাকপুরের গয়নার দোকানগুলি। অন্যান্য দোকান খোলা থাকলেও বাজারে ভিড় কম। যানবাহন চলাচলও কম। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের দাবি, নীলাদ্রি সিংহের হত্যার প্রতিবাদে তাঁদের ডাকা এই বন্ধে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সাড়া দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা একটি প্রতিবাদ মিছিল করেন। সেই মিছিল পৌঁছয় ব্যারাকপুর কমিশনারেট পর্যন্ত। এর পর তাঁরা নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে স্মারকলিপি জমা দেন। মিছিলটি ব্যারাকপুর চিড়িয়া মোড় পেরোনোর পরেই অবশ্য স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের আটকে দেয় পুলিশ। এর পর স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল কমিশনারেটে পৌঁছয় স্মারকলিপি দিতে।
বাপি রায় নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী দাবি করেন, ‘‘কাঁচরাপাড়া, কল্যাণী এবং হাবরা থেকে ব্যবসায়ীরা যোগ দিয়েছেন ওই কর্মসূচিতে।’’
ব্যারাকপুর স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির নেতা গোবিন্দ পাল বলেন, ‘‘এই বন্ধ স্বতঃস্ফূর্ত। মানুষ আমাদের সহযোগিতা করেছেন। আমরা চাই দোষীদের প্রশাসন গ্রেফতার করে শাস্তি দিক। পাশাপাশি, আমাদেরও নিরাপত্তা দিক পুলিশ। আমরা কমিশনারকে স্মারকলিপি দিয়েছি। উনি এলাকায় সিসি ক্যামেরা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।’’
গত বুধবার সন্ধ্যায় ব্যারাকপুরের আনন্দপুরী এলাকায় একটি সোনার দোকানে মাথায় হেলমেট পরে ঢোকে কয়েক জন দুষ্কৃতী। তারা বন্দুক দেখিয়ে লুটপাট শুরু করে। ডাকাতিতে বাধা দিলে দোকানের মালিকের পুত্র নীলাদ্রিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক ডাকাত। পরে নীলাদ্রির মৃত্যু হয়। গুলিতে আহত হন আরও দু’জন। এই ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় ব্যারাকপুরে।