বিধায়ক ভাঙানো নিয়ে তরজা তৃণমূল-বিজেপির। ছবি: সংগৃহীত।
বিজেপির আরও ২০ জন বিধায়ক তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে দাবি করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। শুক্রবার দিল্লিতে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন, ‘‘এ রাজ্যে বিজেপি হারতে হারতে হারাধন হয়ে গিয়েছে।’’ মেদিনীপুর সাংসদের সেই কথার রেশ ধরেই কুণাল বলেন, ‘‘এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা হারাধন উপাধি পেয়েছেন। হারাধন সুকান্ত মজুমদার, হারাধন শুভেন্দু অধিকারী। আরও ২০ জন বিধায়ক অপেক্ষায় রয়েছে। দেখুন কতজন বিধায়ক আসে।’’ পাল্টা জবাব দিয়ে বিজেপি পরিষদীয় দলের প্রবীণ সদস্য মিহির গোস্বামী তৃণমূলকে ‘ইলেক্ট্রিক চুল্লি’-র সঙ্গে তুলনা করেছেন।
উল্লেখ্য, বিজয় দশমীর পরদিন সর্বভারতীয় তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডল থেকে ছবি প্রকাশ করে জানানো হয় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেছেন কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহার। এর আগে মুকুল রায়, সৌমেন রায়, কৃষ্ণ কল্যাণী, বিশ্বজিৎ দাস, সুমন কাঞ্জিলাল ও তন্ময় ঘোষরা বিজেপির প্রতীকে জিতে তৃণমূল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। তাই কুণাল বিজেপি শিবিরে আরও তীব্র ভাঙন ধরানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন।
কুণালের দাবির জবাবে বিজেপি বিধায়ক মিহির বলেন, ‘‘ইলেক্ট্রিক চুল্লিতে মানুষ তখনই যান যখন তাঁর জীবনের আলো নিভে যায়। কাজেই বিজেপির আদর্শে বিশ্বাসী সৎ, সনাতনী রাষ্ট্রবাদে বিশ্বাসী মানুষেরা ওই তৃণমূল নামের ইলেক্ট্রিক চুল্লিতে কখনই যাবেন না।’’