—প্রতীকী ছবি।
তিন মিনিটের জন্য ‘মৃত্যু হয়েছিল’। সেই তিন মিনিটেই নাকি নরক থেকে ঘুরে এসেছিলেন তাঁর এক বন্ধু। তা-ও আবার ঠান্ডা এবং অন্ধকারে ঢাকা এক নরক। তেমনটাই দাবি করেছেন এক নেটাগরিক। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিয়োয় এক পরিচিতের সঙ্গে কথোপকথনের সময় সেই কথা জানিয়েছেন তিনি। তাঁদের কথাবার্তার সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে রেডিট-এ। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
সমাজমাধ্যমে ওই নেটাগরিক তাঁর বন্ধুর নিকট-মৃত্যুর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। দাবি করেছেন, তিন মিনিটের জন্য মারা গিয়েছিলেন তাঁর বন্ধু। তিন মিনিট পর তিনি আবার বেঁচে ওঠেন। কিন্তু কী ভাবে তা সম্ভব? ওই নেটাগরিক জানিয়েছেন, অতিরিক্ত মাত্রায় মাদক সেবনের কারণে তাঁর বন্ধুকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল। অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়েই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হৃদ্যন্ত্রও নাকি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। চিকিৎসকেরা আশা ছেড়ে দেন। কিন্তু তিন মিনিট পর নাকি তাঁর বন্ধু আবার ‘বেঁচে’ ওঠেন। অবাক হয়ে যান চিকিৎসকেরাও।
ওই নেটাগরিক দাবি করেছেন, বন্ধু সুস্থ হয়ে ওঠার পর তাঁকে জানিয়েছিলেন, ওই তিন মিনিট তিনি ‘নরক-যন্ত্রণা’ ভোগ করেছিলেন। তাঁর নাকি মনে হয়েছিল, অন্ধকার একটি জায়গায় বরফ-ঠান্ডা জলে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে তাঁকে। প্রচণ্ড ঠান্ডা লাগা ছাড়া আর কোনও অনুভূতি তাঁর ছিল না। সেই অন্ধকার অতল গহ্বরে তিনি বেশ কিছু ক্ষণ কাটিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছিলেন।
ওই নেটাগরিক বলেছেন, ‘‘আমার বন্ধু নিশ্চিত যে ও যেখানে ছিল, তা নরক এবং যা অনুভব করেছিল তা নরক-যন্ত্রণা। তবে এর পর থেকে আমার বন্ধুর জীবন একেবারে বদলে গিয়েছে।’’ সুস্থ হওয়ার পর তাঁর বন্ধু ভাল ভাল কাজে মন দিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন ওই নেটাগরিক।
ওই রেডিট ব্যবহারকারীর পোস্টে সমাজমাধ্যম জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। অনেকেই সেই পোস্টে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। নেটাগরিকদের একাংশ ওই ব্যবহারকারীর কথা গুরুত্ব দিলেও অন্য অংশ বিষয়টিকে স্রেফ বুজরুকি বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।