Bizarre News

অর্থাভাবে বেহাত হয়, ৫৬ বছর পর নিজেদের বিয়ের ছবি উপহার পেয়ে বাক্যহারা বৃদ্ধ দম্পতি

১৯৬৮ সালে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। আত্মীয়স্বজন এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন দু’জনে। বিয়ের মূহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করতে এক আলোকচিত্রশিল্পীর সঙ্গেও যোগাযোগ করেন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:২৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

৫৬ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল দম্পতির। জীবনের বিশেষ মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দিও করে রেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু অর্থাভাবে সেই ছবি আর পাননি। ৫৬ বছর ধরে বিয়ের স্মৃতি মনের ক্যামেরায় বন্দি করে রেখেছেন দু’জনেই। ৫৬ বছর পর সেই ছবি দেখতে পান তাঁরা। বড়দিনের উপহার তাঁদের। তবে কি সান্তা ক্লজ কোনও ভাবে এই ‘ম্যাজিক’ সম্ভব করল?

Advertisement

কানাডার বাসিন্দা মার্গারেট শারমান এবং ব্যারি শারমান। ১৯৬৮ সালে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। আত্মীয়স্বজন এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন দু’জনে। বিয়ের মূহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করতে এক আলোকচিত্রশিল্পীর সঙ্গেও যোগাযোগ করেন তাঁরা। বিয়ের দিন সেই আলোকচিত্রশিল্পী প্রচুর ছবিও তোলেন। কিন্তু একটি ছবিও পাননি মার্গারেট এবং ব্যারি।

বর্তমানে ব্যারির বয়স ৭৮ বছর এবং ৭৭ বছরে পা রেখেছেন মার্গারেট। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সেই সময় মার্গারেট এবং ব্যারির আর্থিক পরিস্থিতি সুখকর ছিল না। আলোকচিত্রশিল্পীর ছবি তোলার পারিশ্রমিক তাঁরা দিতে পেরেছিলেন ঠিকই। কিন্তু ছবিগুলি প্রিন্ট করানোর জন্য অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন ছিল। সেই টাকা আর জোগাড় করতে পারেননি মার্গারেট এবং ব্যারি। পারিশ্রমিকের বিনিময়ে সেই ছবিগুলি দম্পতিকে দেননি ওই আলোকচিত্রশিল্পী। তার পর কেটে যায় ৫৬টি বছর। সন্তান এবং নাতি-নাতনি নিয়ে সংসার মার্গারেট এবং ব্যারির। বিয়ের মূহুর্তগুলি দু’জনের স্মৃতির ক্যামেরায় বন্দি।

Advertisement

মার্গারেটের কাছের বান্ধবী সান্দ্রা ফেরিনুক। জাদুঘরে কাজ করেন তিনি। মার্গারেটের বিয়েতে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সান্দ্রা। জাদুঘরে কাজ করার সময় হঠাৎ একটি সাদা-কালো ছবি নজরে পড়ে তাঁর। বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি। পাত্র-পাত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁদের বন্ধুবান্ধব। মুখগুলিও খুবই চেনা চেনা লাগছে সান্দ্রার। এ যে সান্দ্রারই তরুণীবেলার ছবি! সান্দ্রার পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁর বান্ধবী মার্গারেট।

এই ছবি যে মার্গারেটের বিয়ের তা বুঝতে দেরি হয় না সান্দ্রার। তাই বড়দিন উপলক্ষে সেই ছবি বান্ধবীকে উপহার দিলেন তিনি। ৫৬ বছর পর সেই ছবি জাদুঘরে কী করে পৌঁছল তা এখনও রহস্য থাকলেও এই উপহার পেয়ে বেজায় খুশি বৃদ্ধ দম্পতি। ছবিটি দেখে বাক্যহারা হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। বিয়ের ছবি দেখার পর নতুন করে স্মৃতির পাতাগুলি ঝালিয়ে ফেললেন শারমান দম্পতি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement