শীতের মরসুমে শোয়ার ঘর কী ভাবে আরও আরামদায়ক করে তুলবেন? ছবি:ফ্রিপিক।
মরসুম আলাদা। তা হলে ঘরের ভিতরেও বদল হবে না কেন? শীতের মরসুম মানেই লেপ, কম্বল মুড়ি দিয়ে আরামের ঘুম। ঘন ঘন গরম পানীয়ে চুমুক দিতে চাওয়া। এমন সময় কী ভাবে সাজাবেন শোয়ার ঘর, যাতে স্বাচ্ছন্দ্য, সৌন্দর্য দুই-ই মেলে।
কম্বল এবং রাগ: শোয়ার ঘরে উষ্ণতা, আরাম, সৌন্দর্য সব কিছু একসঙ্গে চাই? তা হলে বেছে নিতে হবে শীতের উপযোগী বিছানার চাদর, সুদৃশ্য কম্বল। যাতে বিছানায় শুলে ঠান্ডা নয়, আরামের আবেশ আসে। কম্বলটি সকালে সুন্দর ভাবে বিছানায় বিছিয়ে রাখলে রূপও খুলবে, আবার গায়ে টেনে নিতেও সুবিধা হবে। পায়ের নীচে থাক সৌখিন রাগ। ছোট গালিচার মতো রাগ ঘরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেবে অনেকটাই আবার ঠান্ডা মেঝে থেকেও পা বাঁচাবে।
মোমদানি: শীতের দিনে ঘরে উষ্ণতা ছড়াতে পারে সুদৃশ্য মোমদানি এবং তাতে রাখা সুগন্ধি মোম। মোমের নরম আলো ঘর আলো করলে বদলে যাবে পরিবেশ।
কফি মগ ওয়ার্মার: আরাম করে বিছানায় বসে কফি বা চায়ের কাপে চুমুক দিতে চান। হাতের কাছে টেবিলে রাখতে পারেন কফি মগ ওয়ার্মার। এটি ছোট্ট বৈদ্যুতিক যন্ত্র বিশেষ। দেখতে একটু মোটা ধরনের কোস্টারের মতো। তবে তা যে গোল হবে, এমন নয়। এর উপরে সহজেই যে কোনও কফি মগ বসানো যায়। জিনিসটি টেবিলে সহজে রাখাও যায়। বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে এতে থাকা ছোট্ট বোতামে চাপ দিলে কফি গরম থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বেশ কিছু কফি ওয়ার্মারে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের সুবিধাও থাকে।
বুক হোল্ডার: বই পড়ার শখ থাকলে শোয়ার ঘরে সুদৃশ্য বইয়ের তাক রাখতে পারেন। আর রাখতে পারেন বুক হোল্ডার। চেয়ারে বসে পড়ুন বা খাটে বুক হোল্ডারে বইটি আটকে দিলে পড়তে বেশ সুবিধা হবে। ঘরে টেবিল চেয়ার থাকলে সেখানেই বুক হোল্ডার আর কফি মগ ওয়ার্মার রাখতে পারেন।
ফুলের ছোঁয়া: ছোট-বড় ফুলদানি আর তাতে টাটকা ফুলের ছোঁয়া বদলে দিতে পারে ঘরের পরিবেশ। ফুলপ্রেমী হলে শোওয়ার ঘরে রাখুন তাজা মরসুমি ফুলের ছোঁয়া। তাতেই বদলে যাবে অন্দরসজ্জা। ফুলেল ছোঁয়ার পাশাপাশি অন্দরসজ্জায় সুন্দর মূর্তি, ঘড়িও ব্যবহার করতে পারেন।