Bangladesh Police

সংখ্যালঘুদের উপর হামলা এবং ভাঙচুর: ৯৮ শতাংশ ঘটনাই রাজনৈতিক, তদন্তে দাবি বাংলাদেশ পুলিশের

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের বিস্তর অভিযোগ উঠে এসেছে। শনিবার সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার দাবি করেছে, পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে বেশির ভাগই রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৩১
Share:

—ফাইল ছবি।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনার সিংহ ভাগই রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে বলে দাবি করছে সে দেশের পুলিশ। গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের সরকারের পতন হয়। তার পর থেকেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের বিভিন্ন অভিযোগ উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার পুলিশি তদন্তের তথ্য প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

Advertisement

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ‘প্রেস উইং’ থেকে শনিবার পুলিশি তদন্তের তথ্য তুলে ধরা হয়। সে দেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ অনুসারে, বাংলাদেশের পুলিশি তদন্তে দাবি করা হয়েছে, হাসিনার পতনের পর থেকে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪১৫টি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে ৯৮.৪ শতাংশই ঘটেছে রাজনৈতিক কারণে। বাকি ১.৫৯ শতাংশ ঘটনা ঘটেছে সাম্প্রদায়িক কারণে।

ইউনূসের প্রেস উইংয়ের তথ্য অনুসারে, এই সব অভিযোগই উঠে এসেছে ৪-২০ অগস্টের মধ্যে। তবে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের মঞ্চ ‘হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ’ দাবি করেছিল ওই সময়ের মধ্যে ২০১০টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ পুলিশের দাবি, তারা ১৭৬৯টি হামলা এবং ভাঙচুরের অভিযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে ১৪১৫টি অভিযোগের তদন্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে ১২৫৪টি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি সে দেশের পুলিশের। এ ছাড়া ৩৫৪টি অভিযোগের তদন্ত চলছে।

Advertisement

৫ অগস্ট থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশে আরও ১৩৪টি হামলার অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে ৫৩টি মামলা এবং ৫৩টি জেনারেল ডায়েরি করা হয়েছে বলে দাবি বাংলাদেশ পুলিশের। এই ঘটনাগুলিতে এখনও পর্যন্ত ৬৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইউনূসের দফতরের প্রেস উইং জানিয়েছে, অভিযোগ জমা নেওয়ার জন্য পুলিশের সদর দফতর থেকে একটি হোয়াটস্‌অ্যাপ গ্রুপ চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি সংখ্যালঘু নেতাদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে দাবি বাংলাদেশ পুলিশের।

সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে বার বার প্রশ্ন উঠেছে সে দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গে। ভারতও ইউনূসের প্রশাসনকে অনুরোধ করেছে, সে দেশে সংখ্যালঘু-সহ প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। যদিও ইউনূসের প্রশাসন বরাবরই দাবি করে এসেছে, সে দেশে সংখ্যালঘুরা নিরাপদেই রয়েছে। এই আবহে শনিবার তারা দাবি করল, সংখ্যালঘুদের উপর বেশির ভাগ হামলাই হয়েছে রাজনৈতিক কারণে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement