ঘুগনি-চাট বিক্রি করেই সংসার চলছে চাট বিক্রেতার। —ছবি: সংগৃহীত।
শহরের বাজারে ব্যস্ত এক বিকেলের দৃশ্য। ঠেলাগাড়িতে রাখা রয়েছে রান্নার গ্যাস, কাগজের কাপ-প্লেট, মোমো তৈরির বাসন থেকে শুরু করে প্লাস্টিকের কৌটোয় ভরা নানা ধরনের মুখরোচক। ঘড়ির কাঁটা ৪টের ঘরে পৌঁছলেই সেই ঠেলাগাড়ি নিয়ে বাজারে চলে যান রাজেশ যাদব। একে একে তাঁর ছোট্ট ঠেলাগাড়ি ঘিরে ভিড় জমাতে শুরু করেন মুখরোচক খাদ্যপ্রেমীরা। কেউ খান পাপড়ি চাট, কেউ আবার ফুচকা। অনেকে আবার মোমো অথবা ঘুগনি খেতেও ভিড় জমান রাজেশের সেই ঠেলাগাড়ির সামনে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব খাবার শেষ হয়ে যায়। বাড়ি ফেরার পথে রাজেশের পকেটভর্তি টাকা।
বিহারের বানকা জেলার বাসিন্দা রাজেশ। প্রথমে মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন তিনি। কিন্তু সেই রোজগারে সংসার চলছিল না তাঁর। তাই সেই চাকরি ছেড়ে নিজেই চাট বানাতে শুরু করেন তিনি। রাস্তায় ঠেলাগাড়ি নিয়ে ঘুরে ঘুরে চাট বিক্রি করতেন তিনি। ধীরে ধীরে শহর জুড়ে চাটবিক্রেতা হিসাবে নাম ছড়িয়ে পড়ে রাজেশের। তাঁর হাতে বানানো চাটের স্বাদ যেন মুখে লেগে থাকে সকলের।
আবার অন্যান্য চাটের দোকানের চেয়ে রাজেশের দোকানে কম দামেও চাট পাওয়া যায়। বিক্রি এবং পরিচিতি দুই-ই সমান হারে বাড়তে থাকায় শহরের ব্যস্ত বাজারের মাঝখানে ঠেলাগাড়ি নিয়ে বসতে শুরু করেন তিনি। বিগত তিন বছর ধরে সেই বাজারই রাজেশের ঠিকানা। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজেশ বলেন, ‘‘অন্য দোকানে এক প্লেট চাটের দাম ৩৫ টাকা। কিন্তু আমি দাম বাড়াইনি। আমার কাছে ২৫ টাকায় এক প্লেট চাট পাওয়া যায়। প্রতি দিন ৪০০-র বেশি চাটের প্লেট বিক্রি হয়।’’ অর্থাৎ দৈনিক কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা আয় হয় তাঁর। রাজেশের এমন পরিচিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে যে, বহু দূর থেকে তাঁর হাতে বানানো চাট খেতে আসেন খাদ্যপ্রেমীরা।