পুলিশের ধারণা দুষ্কৃতী শরিফুল ইসলাম-ই সইফ আলি খানের হামলাকারী। ছবি: সংগৃহীত।
মুম্বইয়ের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে পটৌদী পরিবারের ‘ছোটে নবাব’ সইফ আলি খানের উপর ধারালো অস্ত্রের হামলা। ঘটনার তিন দিন পর সেই ঘটনায় উঠে এল ‘বাংলাদেশি’ তত্ত্ব। রবিবার ভোরে মুম্বই পুলিশ ঠাণে এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে এক ব্যক্তিকে। দাবি, ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ধারালো অস্ত্র।
পরে মুম্বই পুলিশের (অপরাধ দমন) ডিসিপি দীক্ষিত গেদাম জানান, ডাকাতির উদ্দেশ্যে সইফের বাড়িতে চড়াও হওয়া ওই দুষ্কৃতী বাংলাদেশের নাগরিক হতে পারে। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক ভাবে ধৃত নিজের নাম বিজয় দাস বললেও পরে জানা যায়, তার আসল নাম শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। দীক্ষিত গেদম জানান, আনুমানিক মাস পাঁচেক আগেই বছর ত্রিশের ওই ব্যক্তি এ দেশে এসেছে।
পুলিশের আরও দাবি, গত পাঁচ মাস শরিফুল বিভিন্ন জায়গায় থাকার পর মুম্বই যান দিন পনেরো আগে। এই সময়ই তিনি নিজেকে বিজয় দাস বলে পরিচয় দিতে শুরু করেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে সে পরিচয় দিতেন বলে জানা গিয়েছে। কখনও বিজয় দাস, কখনও ভিজয়, কখনও মহম্মদ ইলিয়াস।
ডিসিপি গেদাম বলেছেন, “একটি গৃহপরিচর্যাকারী সংস্থার সঙ্গে কাজ করত ধৃত। ডাকাতির উদ্দেশ্যেই সইফের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে ঢুকেছিল সে। বাধা পেয়ে অভিনেতার উপর হামলা করে। তার পর পালিয়ে যায়।”
আরও জানা গিয়েছে, মুম্বই পুলিশের (জ়োন ৬) ডিসিপি নবনাথ ধভালে এবং মুম্বইয়ের কসরভাদাভালি থানার পুলিশ যৌথ অভিযানে রবিবার ভোরবেলা পশ্চিম ঠাণের হিরনন্দানি এস্টেট এলাকায় মেট্রো রেলের শ্রমিক বসতি থেকে শরিফুলকে গ্রেফতার করেছে।
ঠিক কী ঘটেছিল হামলার রাতে?
মুম্বই পুলিশের জ়োন ৯ এলাকার ‘সৎগুরু শরণ’ আবাসনের ১২ তলায় সইফ-করিনার ফ্ল্যাট। ডিসিপি দীক্ষিত গেদাম জানিয়েছেন, সিঁড়ি দিয়েই ১২ তলায় উঠেছিল দুষ্কৃতী। বাড়ির ভিতর ঢুকতেই সইফের গৃহকর্মী ফিলিপ লিমা তাকে দেখে ফেলেন, বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। লিমার চিৎকারে বেরিয়ে আসেন সইফ। তখনই ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ওই দুষ্কৃতী। সইফের পাশাপাশি হাতে আঘাত লাগে লিমারও।
এর আগে লিমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছিল, দুষ্কৃতীর বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫, রোগাটে গড়ন।
গত বৃহস্পতিবার দাদর থানা এলাকার এক দোকানে হেডফোন কিনতে দেখা গিয়েছিল ওই ব্যক্তিকে। তারপর বান্দ্রা রেলস্টেশনেও দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে সন্দেহভাজনের ছবি দিয়ে সমস্ত রেলস্টেশনে সতর্কবার্তা পাঠায় পুলিশ। তার ফলেই জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস থেকে আটক করা হয় আরও এক ব্যক্তিকে।