Viral Video

মুখে চোস্ত ইংরেজি, কথা বলছেন মস্তিষ্কের জটিল বিজ্ঞান নিয়ে, বেঙ্গালুরুর রাস্তায় দেখা মিলল ইঞ্জিনিয়ার ভিখারির

ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর একটিতে দেখা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর রাস্তায় এক ভবঘুরে ভিক্ষুকের সঙ্গে কথা বলছেন এক যুবক। দেখে মনে হবে ওই ভিক্ষুক মত্ত অবস্থায় রয়েছেন। তাঁর মুখ ভর্তি দাড়ি, চুল উস্কোখুস্কো।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:০০
Share:

ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।

মুখে ইংরেজি বুলি। কথা বলছেন ধ্যান, ডেভিড হিউমের বই, মস্তিষ্কের বিজ্ঞান এবং নিউটন-আলবার্ট আইনস্টাইনের কাজ নিয়ে। বেঙ্গালুরুর রাস্তায় দেখা মিলল এমনই এক শিক্ষিত ভিখারির। ওই ভিক্ষুকের দাবি, তিনি ইঞ্জিনিয়ার। বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন। কিন্তু এখন দিন গুজরান করেন ভিক্ষা করে। তাঁর একাধিক ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে সমাজমাধ্যমে। সপ্তাহখানেক আগে ‘শরৎ_যুবরাজ_অফিশিয়াল’ নামে ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল থেকে ওই ভিক্ষুকের তিনটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। অচিরেই ভাইরাল হয় ভিডিয়োগুলি। হইচই পড়ে যায়। যদিও সেই সব ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement

ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর একটিতে দেখা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর রাস্তায় এক ভবঘুরে ভিক্ষুকের সঙ্গে কথা বলছেন এক যুবক। দেখে মনে হবে ওই ভিক্ষুক মত্ত অবস্থায় রয়েছেন। তাঁর মুখ ভর্তি দাড়ি, চুল উস্কোখুস্কো। পরনে ন‌োংরা টিশার্ট-প্যান্ট। ইংরেজিতে একটানা কথা বলে যাচ্ছেন তিনি। কথা বলছেন মস্তিষ্কের জটিল রহস্য এবং পদার্থবিদ্যার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। তবে তাঁকে কোনও ভাবেই স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে না। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।

অন্য একটি ভিডিয়োয় ওই ভিক্ষুক দাবি করেছেন, তিনি একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। পদত্যাগ করার আগে মাইসুরু রোডের কাছে নামী প্রযুক্তি পরামর্শদাতা সংস্থার সঙ্গে কাজ করতেন। তিনি আরও জানান, বাবা-মাকে হারানোর পর তিনি মদ্যপান শুরু করেন। সব চলে যায় তাঁর। এখন জীবিকা নির্বাহের জন্য ভিক্ষা করছেন। একটি ভিডিয়োয় তাঁকে আবার বলতে শোনা যায় যে, ২০১৩ সালে তিনি ফ্রাঙ্কফুর্ট গিয়েছিলেন। পরে চলে আসেন।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেঙ্গালুরুর জয়নগরের জেএসএস কলেজ রোডে ওই শিক্ষিত ভিক্ষুককে ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে। ভি়ডিয়োগুলি ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন। নেটাগরিকদের অনেকেই তাঁকে দেখে সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। অসরকারি সংস্থা এবং সমাজকর্মীদের ওই ভিক্ষুককে সাহায্য করার আবেদনও জানিয়েছেন কেউ কেউ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement