Marriage

বাড়ির বৌ হলে পোষ্যকে আনা যাবে না, হবু শাশুড়ির কথা শুনে বিয়েই ভেঙে দিলেন তরুণী

বিয়ের কিছু দিন পর পোষ্যকেও শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যাবেন তিনি। তা শুনে আপত্তি জানান তরুণের মা। তাঁদের বাড়িতেও পোষ্য রয়েছে। দু’টি কুকুর একসঙ্গে সামাল দেওয়া যাবে না বলে জানান প্রেমিকের মা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০০
Share:

—প্রতীকী ছবি।

সাত বছরের সম্পর্ক। বিয়ের কথাবার্তাও প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছে। তরুণী শুধুমাত্র জানিয়েছিলেন, বিয়ের কিছু দিন পর তাঁর পোষ্যকেও শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে আসবেন। তাতেই ধরল ফাটল। তরুণের মায়ের কঠিন নিষেধাজ্ঞা। বাড়িতে কোনও পোষ্য রাখতে চান না তিনি। সেই শুনে সাত বছরের সম্পর্কে ইতি টেনে বিয়েই ভেঙে দিলেন তরুণী।

Advertisement

ঘটনাটি কোথাকার সে বিষয়ে অবশ্য কিছু জানা যায়নি। তবে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, তরুণী ভারতীয়। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে ওই তরুণী জানান যে, সাত বছর ধরে সম্পর্কে রয়েছেন তিনি। বিয়ের কথাবার্তাও পাকা হয়ে গিয়েছে প্রায়। প্রেমিকের মায়ের সঙ্গে কথোপকথন চলাকালীন তরুণী জানান যে, তিনি কুকুর পোষেন।

বিয়ের কিছু দিন পর পোষ্যকেও শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যাবেন তিনি। তা শুনে আপত্তি জানান তরুণের মা। তাঁদের বাড়িতেও পোষ্য রয়েছে। দু’টি কুকুর একসঙ্গে সামাল দেওয়া যাবে না বলে জানান প্রেমিকের মা। তা শোনার পরেও অনুরোধ করেন তরুণী। তাঁর মায়ের শরীর ভাল নয়।

Advertisement

তরুণীর বিয়ের পর একা হাতে সমস্ত দায়িত্ব সামাল দিতে পারবেন না তাঁর অসুস্থ মা। তা ছাড়া পোষ্যটি তাঁর চোখের মণি। তাকে ছাড়া এক মুহূর্তও থাকতে পারেন না ওই তরুণী। সব শোনার পরেও নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন তরুণের মা। তাই প্রেমিকের সঙ্গে বিয়েই ভেঙে দিলেন তরুণী।

সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘‘আমার সম্পর্ক ভাঙার জন্য আমি দায়ী নই। দায়ী নয় আমার প্রেমিকও। ও আমায় খুব ভালবাসত। কিন্তু আজ ওর মায়ের কারণেই আমাদের বিয়ে ভাঙল। আমি শুধু আমার পোষ্যকে নিয়ে থাকতে চেয়েছিলাম। তিনি আপত্তি জানিয়েছেন। জীবনে এমন কেন হয় তাই ভাবছি।’’

তরুণীর পোস্ট দেখে এক নেটাগরিক বলেন, ‘‘কোনও সম্পর্কে থাকতে গেলে অনেক মানিয়ে-গুছিয়ে চলতে হয়। কিন্তু তোমার জীবনে সব ঘেঁটে গিয়েছে।’’ আবার এক নেটব্যবহারকারী বলেছেন, ‘‘তোমার প্রেমিকের বাড়িতেও তো পোষ্য রয়েছে। তা সত্ত্বেও তিনি কেন তোমার কথা বুঝলেন না তা ভেবে অবাক লাগছে।’’ পরে অবশ্য নানা ধরনের মন্তব্যের কারণে ওই তরুণী সমাজমাধ্যম থেকে পোস্টটি মুছেও ফেলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement