বিমানের কোন আসন সুরক্ষিত, জানেন? ছবি: ফ্রিপিক।
বিমানে চড়তে অনেকেই ভয় পান। বিশেষ করে দুর্ঘটনার খবর যখন প্রকাশ্যে আসে, তখন উদ্বেগ বাড়ে বইকি। তবে যাত্রা তো বন্ধ করলে হবে না। কাজের প্রয়োজনে হোক বা বেড়াতে, বিমানে চড়তে হয় অনেককেই। বিমানের ঠিক কোথায় বসা নিরাপদ, সে নিয়ে গুগ্লে বিস্তর খোঁজাখুঁজিও হয়। যদিও বড়সড় দুর্ঘটনায় যে কোনও আসনই নিরাপদ নয়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এই নিয়ে গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, বিমানের কিছু অংশের আসনে বসলে, বিপদের ঝুঁকি কম।
ফেডেরাল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ৩৫ বছরের সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ‘টাইম ম্যাগাজ়িন’-এ। তথ্য বলছে, বিমানের পিছনের অংশটি বিমানের অন্যান্য অংশের তুলনায় বেশি নিরাপদ। ১৯৮৫ সাল থেকে ২০২০, মোট ৩৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করে এই রিপোর্ট সামনে আনা হয়েছে। দাবি, বিমানের সামনের অংশ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, মাঝখানের অংশে ঝুঁকি কম, আর পিছন দিকের অংশ বেশি নিরাপদ।
এর সপক্ষে যুক্তিও দিয়েছে ফেডেরাল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। তারা দাবি করেছে, পিছনে বসলে দ্রুত আপৎকালীন দরজার দিকে যাওয়া যায়। বিমানে যান্ত্রিক গোলযোগ বা আগুন লাগার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটে। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, ডানায় আগুন লাগলে মাঝের অংশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অথবা যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে বিমান মুখ থুবড়ে পড়লে সামনের অংশের ক্ষতিই বেশি হয়।
পিছনের দিকে বসলে দ্রুত আপৎকালীন দরজার দিকে যাওয়া যায়। জানলার ধারের আসনে বসলে বেরোতে দেরি হয়। সে ক্ষেত্রে পিছনের সারির মাঝামাঝি আসনগুলিকেই নিরাপদ বলে দাবি করা হয়েছে। বিলাসবহুল বিমান ছাড়া, সাধারণ যাত্রিবাহী বিমানগুলিতে আসনের ব্যবস্থা মোটামুটি এক। সেই ছক অনুযায়ী, তিনটি আসনের মাঝেরটিতে তো বটেই, এ ছাড়াও আপৎকালীন রাস্তার আগের সারিতে বসা নিরাপদ বলেই মনে দাবি করা হয়েছে। তবে এমন নয় যে, বিমানের নির্দিষ্ট আসনে বসলেই প্রাণ সংশয়ের সম্ভাবনা থাকবে না। তবে বিপদ এড়ানো যেতে পারে অনেকটাই।
তবে মনে রাখতে হবে, বিমানের সবচেয়ে নিরাপদ আসন জরুরি অবস্থা অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। সঙ্কটের সময় বিমানকর্মীদের নির্দেশ মেনে চলাই উচিত।