Wrestler's Protest at Jantar Mantar

মোদী সরকার অন্ধ ও বধির, অভিযোগ কুস্তিগিরদের! বিজেপির ৪৩ মহিলা সাংসদকে চিঠি সাক্ষীদের

যন্তর মন্তরে ধর্নামঞ্চ থেকে এ বার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন কুস্তিগিররা। তাঁদের অভিযোগ, সব জেনেও চুপ করে রয়েছে সরকার। তাই নতুন পদক্ষেপ করেছে তারা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৩ ১৪:১৬
Share:

২২ দিন ধরে যন্তর মন্তরে ধর্না দিচ্ছেন কুস্তিগিররা। তাঁদের দাবি, কুস্তি সংস্থার সভাপতিকে গ্রেফতার করতে হবে। —ফাইল চিত্র

যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরন সিংহের গ্রেফতারির দাবিতে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্না চলছে কুস্তিগিরদের। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ থাকলেও সরকার কিছু শুনছে না বলে অভিযোগ করেছেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগটরা। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে এ বার বিজেপির মহিলা সাংসদদের দ্বারস্থ হয়েছেন সাক্ষী, বিনেশরা।

Advertisement

যন্তর মন্তরে সাংবাদিক বৈঠকে বিনেশ বলেছেন, ‘‘২২ দিন ধরে আমরা অনশন করছি। কিন্তু বিজেপির এক জন মহিলা সাংসদও আমাদের পাশে এসে দাঁড়াননি। তাই আমরা ৪৩ জন মহিলা সাংসদের কাছে ইমেল ও চিঠিতে আমাদের আবেদন জানিয়েছি। আশা করছি এ বার তাঁরা আমাদের পাশে থাকবেন।’’

বিনেশের আরও অভিযোগ, সরকার সব জেনেও অন্ধ ও বধির হয়ে রয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘‘সরকার বেটি পড়াও বেটি বাঁচাও-এর কথা বলে। আমরাও তো মেয়ে। আমাদের বিরুদ্ধে অন্যায় হয়েছে। তার যথেষ্ট প্রমাণ দিয়েছি। সরকারের কাছে আবেদন করেছি। কিন্তু সরকার অন্ধ ও বধির হয়ে রয়েছে। হতে পারে ব্রিজভূষণের ক্ষমতার জন্য সবাই চুপ করে আছে। কিন্তু আমাদের আন্দোলন চলবেই।’’

Advertisement

এর মধ্যেই অবশ্য এগিয়ে এসেছে ভারতীয় অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশন। কুস্তি সংস্থা চালানোর দায়িত্ব নিয়েছে তারা। ১২ মে অলিম্পিক্স সংস্থা চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, কুস্তি সংস্থার যাবতীয় দায়িত্ব তারা নেবে। সংস্থার সব নথি তাদের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন কুস্তিগিররা। তাঁরা আশা রাখছেন, এ বার ন্যায়বিচার পাবেন। বজরং বলেছেন, ‘‘আমাদের বিচারের পথে এটাই প্রথম পদক্ষেপ। আমাদের লড়াই সবে শুরু হয়েছে। ন্যায় না পাওয়া অবধি সেই লড়াই চলবে।’’

অলিম্পিক্স সংস্থা জানিয়েছে, আপাতত তাদের তিন সদস্যের কমিটি সবটা দেখাশোনা করবে। আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে কুস্তি সংস্থায় নির্বাচন করে নতুন কমিটি তৈরি করা হবে। তার পরে সেই কমিটির হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement