অম্বেডকর-বিতর্কে গত বৃহস্পতিবার সংসদ ভবন চত্বরে বিক্ষোভ রাহুল গান্ধী এবং অন্য কংগ্রেস সাংসদদের। ছবি: পিটিআই।
সংসদে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় সিআইএসএফের কোনও ‘গাফিলতি নেই’। সোমবার এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আধাসেনা বাহিনীর ডিআইজি (অপারেশন্স) শ্রীকান্ত কিশোর। সংসদ ভবন চত্বরে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে সিআইএসএফ। সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন গত সপ্তাহে ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস এবং বিজেপি সাংসদেরা। গত বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনা প্রসঙ্গে এ বার নিজেদের অবস্থান জানাল সংসদে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধাসেনা বাহিনী।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, সংসদের গোলমাল প্রসঙ্গে সিআইএসএফ কর্তা বলেন, “কোনও গাফিলতি ছিল না (আধাসেনা বাহিনীর তরফে)। কোনও অস্ত্রে অনুমতি দেওয়া হয়নি।” বিআর অম্বেডকরকে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্য ঘিরে গত সপ্তাহে বিতর্ক ছড়ায়। ওই বিতর্ককে কেন্দ্র করেই বৃহস্পতিবার সংসদের মকর দ্বারের সামনে ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন সাংসদেরা। তার জল গড়িয়েছে থানা-পুলিশ পর্যন্ত। পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় কংগ্রেস এবং বিজেপি দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়।
সে দিন কে কাকে ধাক্কা মেরেছিলেন, তা নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে। ধস্তাধস্তির সময়ে বিজেপির দুই সাংসদ প্রতাপচন্দ্র ষড়ঙ্গী এবং মুকেশ রাজপুত চোট পান। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দুই সাংসদকে আঘাত করার অভিযোগ তোলে বিজেপি। আবার কংগ্রেসের পাল্টা অভিযোগ, তাঁদের বর্ষীয়ান সাংসদ মল্লিকার্জুন খড়্গেকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে, তাতে তিনি পড়ে গিয়েছেন। তবে এই বিতর্কের মধ্যে প্রবেশ করতে চাইছে না আধাসেনা বাহিনী। সাংসদদের অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সিআইএসএফ ডিআইজি জানান, এ বিষয়ে ‘নীরব’ থাকারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাহিনী।
গত বৃহস্পতিবার পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়েই অভিযোগ জানানোর পর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। বিজেপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে একটি এফআইআরও রুজু করা হয়েছে। তবে মকর দ্বারের সামনে গোলমালের ঘটনায় সিআইএসএফ কোনও অনুসন্ধান চালাচ্ছে না বলে সোমবার জানিয়েছেন বাহিনীর ডিআইজি।