Virat Kohli

জফ্রাকে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে ছয়, ছোটবেলা থেকে এই শট মেরেছেন সূর্য

ম্যাচ শেষ হতেই বিসিসিআইয়ের ওয়েব সাইটে একে অন্যের সাক্ষাৎকার নিলেন দুই মুম্বইকর সূর্য কুমার যাদব ও শার্দূল ঠাকুর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২১ ১৩:৫৪
Share:

প্রথম বলেই ফাইন লেগের উপর দিয়ে ছয়। দ্যুতি ছড়ালেন সূর্য। ছবি - টুইটার

একজন জাতীয় দলের হয়ে প্রথম বার ব্যাট করতে নেমেই ৩১ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেছেন। হয়েছেন ম্যাচের সেরা। অন্যজন আবার ১৭তম ওভারে বেন স্টোকসঅইন মর্গ্যানকে পরপর দুই বলে ফিরিয়ে দলকে জেতাতে সাহায্য করেছেন। ফলে ৮ রানে জিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে বিরাট কোহলীর ভারত। ম্যাচ শেষ হতেই বিসিসিআইয়ের ওয়েব সাইটে একে অন্যের সাক্ষাৎকার নিলেন দুই মুম্বইকর সূর্য কুমার যাদব শার্দূল ঠাকুর

Advertisement

শার্দূল ঠাকুর: অভিষেক ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পাওনি। তবে এ বার তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমেই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করলে। কেমন অনুভূতি হচ্ছে?

সূর্য কুমার যাদব: দেশের হয়ে খেলা ও দেশকে ম্যাচ জেতানো ছিল আমার বরাবরের স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন এ বার পূরণ হয়েছে। তাই দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। ব্যাট করতে যাওয়ার সময় শুরুতে একটু চিন্তা করছিলাম। পেটের ভিতর যেন গুড়গুড় করছিল। তবে নিজের প্রতি ছিল অগাধ বিশ্বাস। জানতাম শুরুতে কয়েকটা বল সামলে নিতে পারলে এই পিচে রান করা মোটেও অসম্ভব নয়।

Advertisement

শার্দূল: সূর্য বরাবরই তুমি অদ্ভুত শট মারো। আইপিএল ও ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক বার এমন শট মেরেছো। কিন্তু আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রথম বার ব্যাট করতে নেমে জফ্রা আর্চারের মত বোলারকে ফাইন লেগের উপর দিয়ে ছয় মারলে। এর মধ্যে আবার ইনিংসের প্রথম বলেই ছয়! এত সাহস কীভাবে পেলে?

সূর্য: আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে আইপিএল, জফ্রা আর্চার সব সময় নতুন ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে শুরুতেই শর্ট বল করেছে, যাতে সেই ব্যাটসম্যান ব্যাকফুটে চলে যায়। গত দুই-তিন বছর ওর বিরুদ্ধে আইপিএলে খেলেছি। তাই পাওয়ার প্লে ও শেষের দিকে আর্চার কেমন বোলিং করে সেটা বেশ ভাল ভাবে জানি। ফলে ও শর্ট বল করলে ফাইন লেগের উপর দিয়ে মারার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। তাছাড়া ছোটবেলা থেকেই এই শট অনেকবার মেরেছি। তখন সিমেন্টের পিচে রাবার কিংবা টেনিস বলে এই শট প্রায় মারতাম। তারপর এমন শট ঘরোয়া ক্রিকেট ও আইপিএলে মেরেছি। ফলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফাইন লেগের উপর দিয়ে ছয় মারতে কোনও অসুবিধা হয়নি।

সূর্য: জনি বেয়ারস্টো ও বেন স্টোকসের জুটি একটা সময় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল। এরপর বেয়ারস্টো ফিরে গেলেও ক্রিজে ছিল স্টোকস। সঙ্গে যোগ হল মর্গ্যান। টি-টোয়েন্টির দুই মারকুটে ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে বল করার সময় কতটা চাপে ছিলে?

শার্দূল: স্টোকস ও বেয়ারস্টো জুটি ক্রিজে থাকার সময় আমাদের মধ্যে অনেক আলোচনা হচ্ছিল। কারণ স্পিনারদের হাত থেকে অনেক রান বেরিয়ে গিয়েছিল। তবে সেই সময় ভুবনেশ্বর কুমার দারুণ বল করল। এরপর আমি ১৭তম ওভারে বল করতে এসে স্টোকস ও মর্গ্যানকে আউট করলাম। তখন মনে হয়েছিল এ বার আমরা ম্যাচ জিততে পারি।

সূর্য: শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের জেতার জন্য ২৩ রানের প্রয়োজন ছিল। তবে একই সঙ্গে শিশির বড় প্রভাব ফেলেছিল। কতটা চাপে ছিলে?

শার্দূল: এখন এক ওভারে ২৩ রান তুলে দেওয়া খুব কঠিন নয়। এর মধ্যে শিশির বড় প্রভাব ফেলেছিল। সেই সময় বল করা খুবই কঠিন। রোহিত ভাই তখন নিজের সামর্থ অনুসারে বল করার পরামর্শ দিয়েছিল। তাছাড়া আমি প্যাভিলিয়ন প্রান্ত থেকে বোলিং করার সময় দেখলাম লেগের দিকটা অনেক বড়। তাই রোহিতের পরামর্শ অনুসারে স্লোয়ার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আর এতেই কাজ দিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement