অর্ধ শতরানের পথে সূর্যকুমার। ছবি: বিসিসিআই
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বার ব্যাট করতে নেমে শুরু করলেন ছয় মেরে। সেখান থেকে শেষ করলেন ৩১ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে। সূর্যকুমার যাদবের এমন অকুতোভয় ব্যাটিংয়ের পিছনে রয়েছে বিরাট কোহলীর টোটকা, জানালেন চতুর্থ টি২০ ম্যাচের জয়ের কাণ্ডারি।
বৃহস্পতিবার ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে সূর্যকুমার বলেন, “নিজের সঙ্গে কথা বলছিলাম, সহজ রাখার চেষ্টা করছিলাম নিজেকে। সেই সময় কোহলী এবং দলের সদস্যরা বলে, আমি যেন মনে করি অন্য রঙের জামা পরে আইপিএল খেলছি।” রোহিত শর্মা আউট হতে দেখা যায় মাঠে নামছেন সূর্যকুমার। প্রথম বলেই জফ্রা আর্চারকে মাঠের বাইরে ফেলে দেন নটরাজ ভঙ্গিতে পুল মেরে। ইনিংসে ৩টি ছয় এবং ৬টি চার মেরেছেন সূর্যকুমার। সত্যিই যেন আইপিএল-এর সূর্যকুমারকে ভারতীয় জার্সি গায়ে দেখা গেল বৃহস্পতিবার।
৩০ বছর বয়সে ভারতীয় দলের হয়ে অভিষেক ঘটল সূর্যকুমারের। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত রান করে গেলেও ভারতীয় দলের দরজা খুলছিল না। দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে অভিষেক ঘটলেও ব্যাট করার সুযোগ আসেনি। রোহিত শর্মা দলে ফিরে আসায় তৃতীয় ম্যাচে বসিয়ে দেওয়া হয়। চতুর্থ টি২০-তে ঈশান কিষাণের চোট থাকায় দলে ফিরে আসেন সূর্যকুমার। তাঁকে ৩ নম্বরেই পাঠিয়ে দেন কোহলী। অধিনায়ক তাঁর ওপর যে ভরসা রেখেছিলেন, তা সার্থক ভাবেই পালন করেছেন এই মুম্বইকর।
সূর্যকুমার বলেন, “ভারতের হয়ে ম্যাচ জেতানো আমার স্বপ্ন ছিল। তা সত্যি হল। যে ভাবে সমস্ত কিছু ঘটেছে আমি খুশি।” এমন একটা ইনিংসের শেষ যদিও হল প্রশ্ন চিহ্ন রেখে। স্যাম কারেনের বলে ডাউইড মালানের হাতে ক্যাচ দেন সূর্যকুমার। তবে সেই ক্যাচ সঠিক ভাবে নেওয়া হয়েছে কি না সেই নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন। মাঠের আম্পায়ারের আপাত দৃষ্টিতে নেওয়া সিদ্ধান্তকে নাকচ করার মতো কোনও তথ্য খুঁজে না পাওয়ায় আউটের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন তৃতীয় আম্পায়ার। তবে সূর্যকুমার যে ইনিংস খেলেছেন, আরও বেশ কিছু সুযোগ তিনি যে পাবেন তা বলাই যায়।