India vs England 2021

টি২০ সিরিজে সমতা ফেরালেন কোহলীরা, ইংল্যান্ডকে ৮ রানে হারালেন সূর্য, শার্দূলরা

প্রথমে বেন স্টোকস এবং শেষ দিকে জফ্রা আর্চার প্রায় জিতিয়ে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডকে। তবে শেষ হাসি ভারতেরই। শনিবার শেষ টি২০ ম্যাচে সিরিজের ফয়সালা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২১ ২৩:৪১
Share:

শেষ হাসি বজায় থাকল কোহলীরই। ছবি টুইটার

শেষ ম্যাচ পর্যন্ত সিরিজ টিকিয়ে রাখতে সম্ভবত চাননি অইন মর্গ্যান। ফলস্বরূপ শেষ ওভার পর্যন্ত ভারতীয় বোলারদের বিরুদ্ধে লড়ে গেল ইংল্যান্ড। কিন্তু শেষ হাসি হাসলেন বিরাট কোহলী। ইংল্যান্ডকে ৮ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা ফেরাল ভারত। প্রথমে ব্যাট করে প্রথম বার কেউ জিতল সিরিজে।

Advertisement

তখন ইংল্যান্ড ইনিংসের মাঝামাঝি সময়। ক্রিজে দাপিয়ে খেলছেন জনি বেয়ারস্টো এবং বেন স্টোকস। বারবার বোলার পরিবর্তন করেও সাফল্য পাচ্ছিলেন না বিরাট কোহলী। শেষমেশ সাফল্য এল রাহুল চহারের বলে। ছয় মারতে গিয়ে সীমানার ধারে ধরা পড়লেন বেয়ারস্টো। এরপর শার্দূল ঠাকুর বল করতে এসে পরপর তুলে নিলেন স্টোকস এবং অইন মর্গ্যানকে। ওখানেই ঘুরে গেল ম্যাচের মোড়।

সুযোগ পেয়েই এই ম্যাচে নিজেকে প্রমাণ করলেন সূর্যকুমার যাদব। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অভিষেক হলেও ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। তৃতীয় ম্যাচে বাদ পড়েন। চতুর্থ ম্যাচে ভারতের কাণ্ডারি তিনিই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হল জফ্রা আর্চারকে পুল করে স্কোয়্যার লেগে ছয় মেরে। সেই ছবি নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেল।

Advertisement

গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ভারতের শুরুটা ভাল হয়নি। আদিল রশিদের প্রথম বলে ছয় মেরে রোহিত শর্মা শুরু থেকেই ইংরেজদের ঘাড়ে চেপে বসার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা ধরে রাখা যায়নি। ১২ রানের মাথায় ফেরেন রোহিত।

কে এল রাহুলেরও অফ ফর্ম অব্যাহত। ধীরেসুস্থে খেলে পরপর তিন ম্যাচের ব্যর্থতা কাটানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তিনিও ছন্দ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারলেন না। রাহুল ফেরার পর নেমেছিলেন বিরাট কোহলী। তবে ১ রানের মাথায় রশিদের বলে কার্যত ‘আত্মহত্যা’ করলেন ভারত অধিনায়ক। এগিয়ে এসে রশিদকে ছয় মারতে গিয়েছিলেন। ইংরেজ স্পিনারের গুগলিতে সম্পূর্ণ বোকা বনে যান তিনি। স্টাম্প করতে দেরি করেননি জস বাটলার।

ভারতের রান ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছতে সূর্যকুমার যদি সাহায্য করে থাকেন, তাহলে নেপথ্যে ছিলেন আর এক মুম্বইকর। শ্রেয়স আয়ার ঝোড়ো গতিতে রান করে ইংরেজদের চাপে রাখার চেষ্টা করে যান আগাগোড়া। মাঝে এসে নিজস্ব মেজাজে রান তুলে দেন ঋষভ পন্থও (৩০)।

জবাবে ইংল্যান্ড শুরুতেই হারায় জস বাটলারকে। আগের ম্যাচে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা বাটলার ভুবনেশ্বরের বলে ফিরে যান। তবে উল্টো দিকে ক্রমশ মারমুখী হয়ে উঠছিলেন জেসন রয়। ভারতের কোনও বোলারকেই তিনি রেয়াত করছিলেন না। রয় ফেরার পর ম্যাচের রাশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেন জনি বেয়ারস্টো এবং বেন স্টোকস।

দু’জনে চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে ৬৫ রান তুলে ফেলেন। এক সময় মনে হচ্ছিল ভারতের হাত থেকে ম্যাচ বেরিয়েই যাবে। হঠাৎই ছয় মারতে গিয়ে সীমানার ধারে ওয়াশিংটনের হাতে ক্যাচ দেন বেয়ারস্টো (২৫)। তারপরেও নেতা অইন মর্গ্যানের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন স্টোকস।

ম্যাচের মোড় ঘোরে ১৭তম ওভারে। শার্দূলের প্রথম দুই বলে ফিরে যান স্টোকস (৪৬) এবং মর্গ্যান (৪)। ওই ওভারে ম্যাচের রাশ এসে গিয়েছিল ভারতের হাতে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে চিত্রনাট্য বদলে দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন ক্রিস জর্ডান (১২) এবং আর্চার (অপরাজিত ১৮)। তবে জর্ডান ফিরতেই আশা শেষ হয় ইংরেজদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement