সভাপতি হয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানালেন কল্যাণ। ফাইল ছবি
সভাপতি হলেও নিজে একা নন, সবাইকে নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে চান। তার মধ্যে থাকবেন বিশিষ্ট ফুটবলাররাও, যাঁদের মতামত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। এআইএফএফ-র সভাপতি নির্বাচিত হয়ে জানিয়ে দিলেন কল্যাণ চৌবে। শুক্রবার দিল্লির ফুটবল হাউসে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। আগামী ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বল্পমেয়াদী একটি পরিকল্পনা সামনে রাখতে চান তিনি। আগামী ১৭-১৮ সেপ্টেম্বর নবনির্বাচিত কর্মসমিতির প্রথম বৈঠক হবে কলকাতায়।
এ দিন কল্যাণ বলেছেন, “সুপ্রিম কোর্টে গত ১৯ মাস ধরে আমরা লড়াই করেছি। অনেক পরিশ্রম, সময় এবং অর্থ ব্যয় হয়েছে আজকের দিনটা দেখার জন্য। এখন ভারতীয় ফুটবল যে বাধার সামনে দাঁড়িয়ে, তা কাটিয়ে উঠতে সমস্ত বিশিষ্ট ফুটবলারকে দরকার। প্রত্যেক রাজ্যের যে স্বপ্ন, সেটা বাস্তবায়িত করাই আমার কাজ হতে চলেছে। ১০০ দিন পরে ভারতীয় ফুটবল নিয়ে একটা পরিকল্পনা প্রকাশ করব এবং কী ভাবে এগিয়ে যাব সেই সিদ্ধান্ত নেব।”
সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর কল্যাণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফোন করেন ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। সেই প্রসঙ্গে কল্যাণ বলেছেন, “ওঁর সঙ্গে আমার সাড়ে পাঁচ মিনিট কথা হয়েছে। এ বছরই দোহা বা জুরিখে উনি দেখা করতে চেয়েছেন। তবে আমি এখন দেখা করতে যাব না। আগামী কয়েক দিন সামনে অনেক কাজ রয়েছে। সেগুলো আগে করতে হবে। পরের মাসে অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপ রয়েছে। ওঁকে বলেছি, কী ভাবে ভারতীয় ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাব তা নিয়ে পরে একান্তে আলোচনা হবে। তখন বিস্তারিত ভাবে আমাদের পরিকল্পনার কথা জানাব।” কল্যাণের সংযোজন, “ফুটবল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ দেখে খুশি ফিফা সভাপতি।”
নিজের পরিকল্পনা সম্পর্কে কল্যাণ বলেছেন, “বিভিন্ন স্কুলের সঙ্গে কথা বলে তৃণমূল স্তরে যাতে ফুটবল ছড়িয়ে দেওয়া যায় সেই চেষ্টা করব। মূলত ছয় থেকে ১২ বছরের ছেলেমেয়েদের মধ্যে ফুটবল ছড়িয়ে দিতে চাই। ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব।”
প্রতিপক্ষ ভাইচুং ভুটিয়াকে সভাপতি নির্বাচনে হারালেও বিশিষ্ট ফুটবলার হিসাবে কর্মসমিতিতে থাকছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। ভাইচুং সম্পর্কে কল্যাণ বলেছেন, “ভারতীয় ফুটবলে ভাইচুংয়ের অবদান কোনও দিন ভোলা যাবে না। শুধু ওর নয়, প্রত্যেকের মতামত আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখব।”