ভাইচুং ভুটিয়াকে হারিয়ে এআইএফএফ সভাপতি হলেন কল্যাণ। ফাইল ছবি
ভারতীয় ফুটবল সংস্থার নতুন সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন কল্যাণ চৌবে। শুক্রবার নির্বাচনে ভাইচুং ভুটিয়াকে একপেশে ভোটে ৩৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছেন তিনি। দৌড়ে অনেকটাই এগিয়েছিলেন কল্যাণ। বাংলার এক জন প্রাক্তন ফুটবলার দেশের ফুটবলে সর্বোচ্চ পদে বসায় খুশি ময়দানের ক্লাবকর্তারা। তাঁদের আশা, শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশের ফুটবলকে আগামী দিনে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবেন কল্যাণ।
ইস্টবেঙ্গলের কর্তা দেবব্রত সরকার আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “কল্যাণ অনেক দিন আমাদের ক্লাবে খেলেছে। ওকে ছোটবেলা থেকেই চিনি। এখন কল্যাণ অনেক বেশি পরিণত। সুন্দর ভাবে ও ভারতীয় ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, এই আশাই রাখি। বাংলার ফুটবল, কেরল, মহারাষ্ট্র বা অন্য যে কোনও রাজ্যের ফুটবলের উন্নতিতে আমরা ওর পাশে থাকব। নিজে ফুটবলার হওয়ায় ও ফুটবলারদের সমস্যা এবং তার সমাধানের ব্যাপারে ভালই জানে।” দেবব্রত যোগ করেছেন, “ভারতীয় ফুটবলই শুধু নয়, পৃথিবীর যে কোনও জায়গায় বাংলার যে কেউ সর্বোচ্চ পদে বসলে আমরা গর্বিত হই। এ ক্ষেত্রেও তাই।”
মোহনবাগান ক্লাবের সচিব দেবাশিস দত্তের মতে, শুধু কল্যাণ নয়, ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে এগিয়ে আসতে হবে গোটা কর্মসমিতিকেই। তিনি বলেছেন, “এক জনকে দিয়ে ফুটবলের উন্নতি সম্ভব হয় না। কল্যাণ নিজে তো রয়েছেই। আশা করি বাকিরাও ওর পাশে দাঁড়াবে এবং ভারতীয় ফুটবল যাতে আরও উঁচুতে উঠতে পারে, সেই চেষ্টা করবে।” কোন জায়গায় আগে জোর দেওয়া উচিত কল্যাণের? দেবাশিস বলেছেন, “যুব ফুটবলের উন্নতির ব্যাপারে আরও খাটতে হবে। পাশাপাশি, যে সব রাজ্যে লিগ হয় না, সেখানে লিগ চালু করতে হবে। অনেক দেশীয় ফুটবলার তুলতে হবে। জাতীয় দলে যাতে ফুটবলারদের জোগান আরও বাড়ে, সেই ব্যাপারে খাটতে হবে। আরও বেশি ফুটবল ম্যাচ হওয়া দরকার।”
মহমেডান ক্লাবের সচিব কামারুদ্দিন মনে করেন, কল্যাণ নিজে যে হেতু ফুটবলার ছিলেন, তাই আলাদা করে তাঁকে কোনও সমস্যার সামনে পড়তে হবে না। তিনি বলেছেন, “কল্যাণ সব জানে। দুই প্রধানে সুনামের সঙ্গে খেলেছে। ওকে অনেক শুভেচ্ছা। আশা করব ওর হাত ধরে ভারতীয় ফুটবল অন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে।”