গোলের পরে উল্লাস মোহনবাগানের দিমিত্রি পেত্রাতোসের। ছবি: টুইটার
ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ডুরান্ড কাপ জিতল মোহনবাগান। ১৭ বার এই ট্রফি ঢুকল সবুজ-মেরুন তাঁবুতে। দ্বিতীয়ার্ধে ৬০ মিনিটের মাথায় লাল কার্ড দেখেন মোহনবাগানের অনিরুদ্ধ থাপা। তার পরেও গোল করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। সেই এক গোলেই ম্যাচ জেতে মোহনবাগান। সবুজ-মেরুনের জয়ের নেপথ্যে পাঁচ কারণ কী কী?
১) ১০ জন হয়ে যাওয়ার পরেও হাল ছাড়েনি মোহনবাগান। রক্ষণাত্মক হয়ে পড়েনি তারা। সেই কারণেই প্রতি-আক্রমণ থেকে গোল করতে পারেন বাগানের পেত্রাতোস। এই হাল না ছাড়ার মানসিকতা জেতায় মোহনবাগানকে।
২) মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দোর পরিকল্পনা কাজে আসল। প্রথমার্থে পেত্রাতোস তত ভাল খেলতে না পারলেও তাঁকে না তুলে সেমিফাইনালের নায়ক আর্মান্দো সাদিকু ও দলের নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় হুগো বুমোসকে তুলে নেন তিনি। সেই পেত্রাতোসই গোল করে বাগানকে জেতাল।
৩) ১০ জন হয়ে যাওয়ার পরে বাগানের ফুটবলারদের আক্রমণাত্মক মানসিকতা দলকে জেতাল। অনেক বেশি দায়িত্ব নিয়ে খেলা শুরু করেন সবুজ-মেরুন ফুটবলারেরা। সেই দায়বদ্ধতা জেতাল বাগানকে।
৪) মোহনবাগান ১০ জন হয়ে যাওয়ার পরে সামান্য হলেও আত্মতুষ্টি এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের মধ্যে। কিছুটা গা-ছাড়া মনোভাব দেখান তাঁরা। সেই সময়ই গোল খায় ইস্টবেঙ্গল।
৫) শেষ ১৫ মিনিট রক্ষণের ঝাঁপ বন্ধ করে দেন ফেরান্দো। বিদেশি ব্রেন্ডন হামিলকে নামিয়ে দেন তিনি। বাগানের সব ফুটবলারেরা নেমে আসে বক্সে। ফলে অনেক চেষ্টা করেও সমতা ফেরাতে পারেনি লাল-হলুদ।