চন্দন মন্ডল। ছবি: সংগৃহীত।
সল্টলেকের সিটি সেন্টার ওয়ানের নীচ থেকে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম চন্দন মন্ডল। চন্দনের স্ত্রীর বক্তব্য, রবিবার সকালে তাঁকে একটি মেসেজ করে স্বামী লিখেছিলেন, “আর চাপ সহ্য করতে পারছি না।” ওই মেসেজে সন্তানকে নিয়ে সাবধানে থাকার পরামর্শও স্ত্রীকে দিয়েছিলেন চন্দন। প্রাথমিক ভাবে তাই মনে করা হচ্ছে, অসাবধানে পড়ে গিয়ে মারা যাননি চন্দন। এটি আত্মহত্যার ঘটনা। তবে সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
চন্দনের পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় কাজ করতেন চন্দন। সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের একাংশ স্বামীর উপর মানসিক চাপ তৈরি করেছিলেন বলে দাবি করেছেন মৃতের স্ত্রী। বিশেষত ওই ম্যানেজমেন্ট সংস্থার অন্যতম কর্তা বিষ্ণু মুচ্ছলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে মৃত ব্যক্তির পরিবার।
চন্দনের স্ত্রী জানিয়েছেন, অন্য সংস্থা থেকে এসে নতুন এই সংস্থায় যোগ দিলেও তাঁর স্বামীকে নিয়মিত কাজ দেওয়া হচ্ছিল না। তাই নিয়ে নাকি স্ত্রীর কাছে হতাশার কথা জানিয়েছিলেন চন্দন। স্ত্রী তাঁকে অভয় দিয়ে জানিয়েছিলেন, অহেতুক চিন্তা না করতে। রবিবার সকালে সংস্থার অন্য কর্মীদের সঙ্গে চন্দন যে সিটি সেন্টারে যাবেন, তা তিনি জানতেন বলে জানিয়েছেন স্ত্রী। চন্দনই তাঁকে ফোন করে সে কথা জানিয়েছিলেন। তার পরই তিনি খবর পান, সিটি সেন্টারের চার তলা থেকে ‘পড়ে গিয়ে’ মৃত্যু হয়েছে স্বামীর।
জনবহুল একটা জায়গায়, এত লোকের মাঝে কী করে ওই ব্যক্তি পড়ে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সিটি সেন্টারের কাছে চন্দনের দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশের কাছে খবর যায়। এই মৃত্যুর কারণ নিছকই দুর্ঘটনা, খুন না কি আত্মহত্যা, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।