দেশে ফিরলেই জেলে পোরার হুমকি ইরানের ফুটবলারদের। ছবি: রয়টার্স
মঙ্গলবার আমেরিকার কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে ইরান। গ্রুপে ওয়েলসকে হারিয়েও পরের রাউন্ডে যেতে পারল না তারা। তবে ভয়ের কারণেই তাদের হারতে হয়েছে কিনা, সেই প্রশ্ন উঠেছে। ইরানের ফুটবলারদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, দেশে ফিরলেই তাঁদের জেলে পোরা হতে পারে। ছাড় পাবেন না পরিবারের সদস্যরাও।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে গলা মেলাননি ইরানের ফুটবলাররা। সরকার বিরোধী প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়েই এই কাজ করেন। ফুটবলারদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানান স্টেডিয়ামে হাজির ইরানের সমর্থকরা। দেশে ব্যাপক সমর্থিত হয় সর্দার আজমুনদের সিদ্ধান্ত। তার পরেই ইরানের সরকার হুমকি দেয় ফুটবলারদের। সাফ বলে দেওয়া হয়, পরের ম্যাচে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে গলা না মেলালে ফুটবলারদের পরিবারের উপর ‘অত্যাচার’ চালানো হবে। তেহরানের বিরুদ্ধে কোনও রকম বিরোধিতা বরদাস্ত করা হবে না। এর পরেই ওয়েলস ম্যাচে ইরানের ফুটবলাররা জাতীয় সঙ্গীতে গলা মেলান।
ফুটবলারদের সমস্ত পদক্ষেপ কড়া নজরে রাখার জন্য ইরানের তরফে বেশ কিছু ব্যক্তিকে পাঠানো হয়েছে। সরকারের প্রায় ১২ জন আধিকারিককে পাঠানো হয়েছে কাতারে। প্রতিটি ফুটবলারের কার্যকলাপ নজরে রাখছেন তারা। দলের বাইরে কারওর সঙ্গে দেখা করার অধিকার নেই ফুটবলারদের। কোনও বিদেশির সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না তাঁরা। ইরান সরকারের আধিকারিকরা প্রতি মুহূর্তে তথ্য সংগ্রহ করে দেশে পাঠাচ্ছেন।
ইরান রেভলিউশনারি গার্ড ফোর্সেসের (আইআরজিসি) সদস্যরা ইরানের কোচ কার্লোস কুইরোজ়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানেই কুইরোজ়কে হুঁশিয়ারি দিয়ে দলের ফুটবলারদের শান্ত থাকতে বলা হয়। জানা গিয়েছিল, বিশ্বকাপগামী দলের সদস্য উপহার এবং গাড়ি দেওয়া হবে। তবে সরকার-বিরোধী কাজকর্ম করায় সে সব তো দূর, দেশে ফিরলে জেলে পুরে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।