ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দল। ছবি: সংগৃহীত।
কন্যাশ্রী কাপ শুরু হয়েছে ২২ নভেম্বর। তার পর থেকে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দলকে রোখা যাচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত ৬টি ম্যাচ খেলেছে তারা। করেছে ৪১টি গোল। হজম করেছে মাত্র ২টি। সোমবার তারা মতুয়া সরোজিনী নাইড়ু ওরিয়েন্ট এসসি-কে হারিয়েছে ১১-০ গোলে। এটি মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় বার ১১ গোল।
গত ২২ নভেম্বরও শুরুটা হয়েছিল ১১ গোলে। সেই ম্যাচে কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনকে ১১-১ গোলে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তুলসী হেমব্রম হ্যাটট্রিক করেছিলেন। পরের ম্যাচে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এসসি-কে ৭-১ গোলে হারিয়েছিল তারা। তৃতীয় ম্যচে নিউ আলিপুর সুরুচি সঙ্ঘের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্সের নিরিখে এই ম্যাচটিই একমাত্র ব্যতিক্রম।
চতুর্থ ম্যাচে বালি গ্রামাঞ্চল ক্রীড়া সমিতিকে ৫-০ গোলে হারায় তারা। পঞ্চম ম্যাচে মহমেডান স্পোর্টিংকে ৭-০ গোলে হারিয়ে দেয়। সোমবারের ম্যাচে আবার ১১ গোলে জিতল তারা।
ইস্টবেঙ্গলের এই পারফরম্যান্সে বিশেষ করে দু’জনের কথা উঠে আসছে। প্রথম জন সুলঞ্জনা রাউল। পূর্ব মেদিনীপুরের এই মেয়েটি ইতিমধ্যেই ভারতের জার্সি গায়ে গোল করে ফেলেছেন। অনূর্ধ্ব-১৭ এএফসি কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ইরানের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছেন। কন্যাশ্রী কাপে এখনই তাঁর ১৫টি গোল হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে একটি হ্যাটট্রিক, একটি ডাবল হ্যাটট্রিক রয়েছে। কম যান না তুলসীও। দু’টি হ্যাটট্রিক-সহ তাঁর ৯টি গোল রয়েছে। সুস্মিতা বর্ধন করেছেন ৫টি গোল। এখন দেখার, ইস্টবেঙ্গলের এই গোলের ঝড় থামে কোথায়।