জেজে লালপেখলুয়া। ছবি: টুইটার।
দুই প্রধানেই খেলেছেন একসময়। চেন্নাইয়িনের হয়ে দু’বার জিতেছেন আইএসএল। মোহনবাগানের হয়ে আই লিগ জয়েরও অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই জেজে লালপেখলুয়া এ বার বিধায়ক হয়ে গেলেন। ময়দান থেকে রাজনীতিতে আসার আরও একটি ঘটনা দেখা গেল। বাংলাতেও মনোজ তিওয়ারি, অশোক ডিন্ডা, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়েরা রয়েছেন, যাঁরা খেলাধুলোর জগত থেকে রাজনীতিতে এসেছেন। সিকিম থেকে রয়েছেন বাইচুং ভুটিয়া।
সোমবার মিজ়োরামের বিধানসভা ভোটের ফলাফল গণনা চলছে। কিন্তু জেজের জয় দুপুরের মধ্যেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। বিদায়ী সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মিজ়ো ন্যাশনাল ফ্রন্টের প্রার্থী আর লালথাংলিয়ানাকে ১৩৫ ভোটে হারিয়েছেন জ়োরাম পিপল্স মুভমেন্টের (জেডপিএম) প্রার্থী জেজে।
ভারতের চার রাজ্যের ফল ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল রবিবারেই। সোমবার ছিল শুধু মিজ়োরামের গণনা। সেখানে দক্ষিণ তুইপুই কেন্দ্রের জেডপিএম প্রার্থী জেজে পান ৫৪৬৮টি ভোট। অন্য দিকে লালথাংলিয়ানা পান ৫৩৩৩টি ভোট। ভারতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী সি লালডিনলুয়াঙ্গা পেয়েছেন ২৯৫৮টি ভোট। ফলে ১৩৫টি ভোটে জিতে ওই বিধানসভা থেকে বিধায়ক হয়ে গিয়েছেন জেজে।
এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর নেন জেজে। মিজ়োরামের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ফুটবলার তিনি। দেশের হয়ে ৫৬টি ম্যাচে ২৩টি গোল করেছেন। শুরু করেছিলেন পুণে এফসি-র অ্যাকাডেমি থেকে। পুণে এফসি তাঁর প্রথম পেশাদার ক্লাব। এর পর লোনে ইন্ডিয়ান অ্যারোজ়েও খেলেছেন। ডেম্পো হয়ে তিনি যোগ দেন মোহনবাগানে। সবুজ-মেরুনের হয়ে আই লিগ জেতেন। মোহনবাগান থেকেই লোনে যোগ দেন চেন্নাইয়িনে।
তখন আইএসএল এবং আই লিগ আলাদা সময়ে হওয়ায় আই লিগের ক্লাবগুলির ফুটবলারেরাও খেলতেন আইএসএলে। জেজে চেন্নাইয়িনের হয়ে দুটি আইএসএল জেতেন। এর পর কয়েক বছর চোটের কারণে ফুটবল খেলতে পারেননি। শেষ বার তিনি খেলেছেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে। তখন ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী ছিল শ্রী সিমেন্ট। ক্রমাগত চোটে ভুগতে থাকার কারণেই অবসর নিয়েছিলেন জেজে।
তার পর থেকে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এ বার তিনি হয়ে গেলেন বিধায়ক।