রোহিত শর্মা (বাঁ দিকে) এবং বিরাট কোহলি। — ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন সফল হয়নি। তবে ২০২৩ সালটা খুব খারাপ যায়নি ভারতের কাছে। বছরের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়াকে ঘরের মাঠে হারানো দিয়ে শুরু। এর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের মাটিতে তিন ফরম্যাটেই সিরিজ় জয়। ঘরের মাঠে নিউ জ়িল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের সিরিজ় জয় রয়েছে। তবে এশিয়া কাপে ব্যর্থ হয়েছে ভারত। ২০২৪ সালটা বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। বছরের শুরু থেকেই রয়েছে ঠাসা সূচি। এ বছরেও একটি বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ রয়েছে ভারতের কাছে।
৩ জানুয়ারি, অর্থাৎ আগামী বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামবে ভারত। এর পর দেশে ফিরে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ় রয়েছে। সেটি শেষ হলেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ের প্রস্তুতি শুরু করে দেবে ভারত।
ব্রেন্ডন ম্যাকালাম কোচ হয়ে আসার পরে ইংল্যান্ড টেস্টে শুরু করেছে ‘বাজ়বল’ ক্রিকেট। বদলে যাওয়া সেই দলের বিরুদ্ধে প্রথম বার খেলতে নামছে ভারত। পাঁচটি টেস্ট হবে ঘরের মাঠে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্গত হওয়ায় এই টেস্টগুলির প্রচণ্ড গুরুত্ব রয়েছে। বস্তুত এই সিরিজ়ের উপরেই নির্ভর করছে ভারতের টানা তৃতীয় বার ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা।
ইংল্যান্ড সিরিজ় শেষ হলে ভারতের প্রথম সারির ক্রিকেটারেরা ব্যস্ত হয়ে পড়বেন আইপিএলে খেলতে। মার্চের তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহ থেকে মে মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে আইপিএল। এর পরেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় এবং আমেরিকায় যাবে ভারত।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ফিরে শ্রীলঙ্কায় যাবে ভারত। জুলাইয়ের তৃতীয় এবং চতুর্থ সপ্তাহে সে দেশে তিনটি এক দিনের ম্যাচ এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে তারা। শ্রীলঙ্কা থেকে দেশে ফেরার পরেই ভারতে হাজির হয়ে যাবে বাংলাদেশ। দু’টি টেস্ট এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে তারা। সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে সেই সিরিজ়।
বাংলাদেশ সিরিজ় শেষ হলে ঘরের মাটিতে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি টেস্টের সিরিজ় খেলবে ভারত। এই সিরিজ়টিও গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এর পর অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবে ভারত। নভেম্বরের চতুর্থ সপ্তাহ থেকে সেই সিরিজ় শুরু হওয়ার কথা।
যে সূচি বলা হয়েছে, তার মধ্যে আফগানিস্তান সিরিজ় এবং আইপিএল বাদে বাকিগুলি আইসিসি-র ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রামের (এফটিপি) অন্তর্গত। চাইলে এর বাইরেও কোনও সিরিজ় খেলতে পারে ভারত। তবে তার জন্য ফাঁকা সময় খুঁজে বার করতে হবে।