পাকিস্তানের পরে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধেও অর্ধশতরান করেছেন কোহলি। ছবি: এএফপি।
সবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দু’টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। দু’টি ম্যাচেই অর্ধশতরান করেছেন বিরাট কোহলি। জোড়া অর্ধশতরানের দাপটে বিশ্বকাপের শুরুতেই বাকি ব্যাটারদের থেকে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন তিনি। দু’ম্যাচে ১৪৪ রান করে মনে করাচ্ছেন ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সকে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৮২ রানের পরে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৬২ রান করেছেন কোহলি। দু’টি ম্যাচেই অপরাজিত তিনি। আউট না হওয়ায় তাঁর ব্যাটিং গড় হিসাব করা যাচ্ছে না। কোহলির স্ট্রাইক রেট ১৪৮.৪৫। এই দু’টি ইনিংসে ৯টি চার ও ৬টি ছক্কা মেরেছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।
ব্যাটারদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি’কক। দু’টি ম্যাচে তাঁর রান ১১০। অর্থাৎ, কোহলির থেকে ৩৪ রানে পিছিয়ে তিনি, যা টি-টোয়েন্টির নিরিখে খুব কম নয়। ডি’ককের সর্বোচ্চ রান এখনও পর্যন্ত ৬৩। ব্যাটিং গড় ১১০। স্ট্রাইক রেটে অবশ্য কোহলির থেকে এগিয়ে ডি’কক। তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৯৬.৪২।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শতরান করে তালিকায় তিন নম্বরে উঠে এসেছেন দক্ষিণ আফ্রিকারই রিলি রুসো। দু’টি ম্যাচ খেললেও একটি ম্যাচেই ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। রুসোর রান ১০৯। সেটিই তাঁর ব্যাটিং গড়। স্ট্রাইক রেট ১৯৪.৬৪।
২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সব থেকে বেশি রান করেছিলেন কোহলি। পাঁচটি ম্যাচে ২৭৩ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮৯। সে বার কোহলির ব্যাটিং গড় ছিল ১৩৬.৫০। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪৬.৭৭। তিনটি অর্ধশতরান করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন ইংল্যান্ডের জো রুট। তাঁর রান ছিল ২৪৯।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসেও নজিরের দিকে এগোচ্ছেন কোহলি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সব মিলিয়ে তাঁর রান ৯৮৯। গড় ৮৯.৯০। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেলকে (৯৬৫) টপকে গিয়েছেন তিনি। এখন দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি। শীর্ষে শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়বর্ধনে। তাঁর রান ১০১৬। অর্থাৎ আর ২৭ রান পিছিয়ে কোহলি। পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বাধিক রানের মালিক হওয়ার সুযোগ কোহলির সামনে।