রবিবার রাতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে বিজেপির মঞ্চ বাঁধার সরঞ্জাম সরিয়ে নিচ্ছে পুলিশ। ছবি: এক্স।
স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বিজেপিকে মঞ্চ বাঁধতে দিল না পুলিশ। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি এবং সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে সোমবার স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও হবে বলে শনিবারই ঘোষণা করেছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। কিন্তু সে কর্মসূচির জন্য পুলিশি অনুমতি মিলল না। রবিবার রাত সাড়ে ৮টার পর মঞ্চ বাঁধার যাবতীয় সরঞ্জাম সরিয়ে নিয়ে গেল পুলিশ।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক প্রসূতি এবং এক সদ্যোজাতের মৃত্যু ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতর তুঙ্গে উঠেছে। ‘বিষাক্ত’ স্যালাইনের কারণে মৃত্যু বলে বিরোধীদের অভিযোগ। সেই অভিযোগের উপরে দাঁড়িয়েই বিজেপি স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে। বিজেপির দাবি স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ। সেই দাবিতেই সুকান্তের নেতৃত্বে সোমবার স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ শেষ পর্যন্ত অনুমতি দিল না।
রবিবার বিকেল থেকেই বিজেপি কর্মীরা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে মঞ্চ বাঁধার এবং গোটা এলাকায় মাইক লাগানোর কাজ শুরু করেছিলেন। সন্ধ্যায় বিধাননগর পুলিশ সে কাজে বাধা দেয়। স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের অনুমতি পুলিশ দেয়নি বলে উদ্যোক্তাদের জানানো হয়। উদ্যোক্তারা অনুমতি প্রত্যাখ্যানের নথি দেখতে চান। তৎক্ষণাৎ সে নথি পুলিশ দেখাতে পারেনি বলে দু’পক্ষের মধ্যে কিছুক্ষণ বচসা হয়। তবে মঞ্চ এবং মাইক বাঁধার কাজ চালিয়ে যেতে থাকে বিজেপি। রাত সাড়ে ৮টার পরে আর কাজ এগোতে পারে বিজেপি। এ বার আর শুধু মঞ্চ বাঁধতে বারণ করে থেমে থাকেনি পুলিশ। মঞ্চ তৈরির সাজ-সরঞ্জামও খুলে নিয়ে চলে যায় তারা।
পুলিশি বাধার অভিযোগ তুলে রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে একাধিক বার সমাজমাধ্যমে সরব হন সুকান্ত। রাত ৮টা ৫৬ নাগাদ পুলিশি অভিযানের ভিডিয়ো পোস্ট করে সুকান্ত লেখেন, ‘‘বিজেপির স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ রোখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ কী ভাবে মঞ্চ বাঁধার সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করছে দেখুন।’’
আনন্দবাজার অনলাইনকে রাত সওয়া ৯টা নাগাদ সুকান্ত বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের অনুমতি যে দেওয়া হয়নি, পুলিশের তরফ থেকে তেমন কোনও মেল আমি এখনও পাইনি। তবে মেল পেলেও স্বাস্থ্য ভবন অভিযান হবেই।’’ প্রয়োজনে কোনও স্থায়ী মঞ্চ ছাড়াই সোমবার বিজেপি কর্মসূচি পালন করবে বলে রাজ্য বিজেপি সভাপতি জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা জমায়েত করে স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও করব। মঞ্চের দরকার নেই। প্রয়োজনে অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে ভাষণ দেব। কিন্তু অভিযান হবেই।’’