ভারত-পাক ম্যাচে এই নো বল ঘিরেই বিতর্ক। ছবি: বিসিসিআই
ভারতীয় ইনিংসের শেষ ওভারে নো বল বিতর্ক নিয়ে এ বার মুখ খুললেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল আথারটন। তাঁর মতে, আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। সেটা নিয়ে বেশি জলঘোলা করার কোনও মানে হয় না।
একটি আলোচনায় এ কথা বলেছেন আথারটন। তাঁর কথায়, ‘‘আমার মনে হয় ওটা নো বল ছিল। আম্পায়ার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওটা নিয়ে বেশি বিতর্কের কোনও মানে নেই।’’ তবে সেই সময় তিনি ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন না বলে খুশি আথারটন। বলেছেন, ‘‘ভাগ্যিস সেই সময় আমি ধারাভাষ্য দিচ্ছিলাম না। নইলে হয়তো বিতর্কে আমার নামও টানা হত।’’
নো বলের পাশাপাশি ফ্রি হিট নিয়েও মুখ খুলেছেন আথারটন। ফ্রি হিটে বিরাট কোহলি বোল্ড হয়ে যান। কিন্তু উইকেটে লেগে বল দূরে গেলে তাঁরা দৌড়ে তিন রান নেন। সেটা বৈধ ছিল বলেই মনে করেন আথারটন। তিনি বলেছেন, ‘‘ক্রিকেটের নিয়মের মধ্যে থেকেই ওরা রান নিয়েছে। ব্যাটে বল লাগেনি বলে আম্পায়ার বাই রান দিয়েছেন। এতে অন্যায়ের কিছু নেই।’’
শেষ ওভারের চতুর্থ বল কোহলির কোমরসমান উচ্চতায় করেন মহম্মদ নওয়াজ়। ডিপ স্কোয়ার লেগের উপর দিয়ে তা মাঠের বাইরে ফেলে দেন কোহলি। সঙ্গে সঙ্গে ইশারায় নো বলের আবেদন করেন। তার পরে আম্পায়ার নো ডাকেন। এই সিদ্ধান্তের পরেই আম্পায়ারকে ঘিরে ধরেন বাবর আজমরা। কিন্তু আম্পায়ার তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন।
এই নো বল নিয়ে আম্পায়ারদের তীব্র সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন তিন অধিনায়ক। ওয়াসিম আক্রম বলেছেন, “বলটা ক্রমশ নীচু হয়ে যাচ্ছিল। খালি চোখে দেখে কখনওই ওটা নো বল মনে হয়নি। ব্যাটে লাগার আগেই বলটা অনেক নীচু হয়ে গিয়েছিল। যে কোনও ব্যাটারই নো বলের দাবি জানাবে। কোহলির কোনও দোষ ছিল না। কিন্তু এত বড় ম্যাচে যেখানে প্রযুক্তি রয়েছে, তা হলে সেটা ব্যবহার করা হোক। কেন ম্যাচটাকে উত্তপ্ত হতে দেওয়া হল?”
ওয়াকার ইউনিস আবার বলেছেন, “বল কোমরসমান উচ্চতায় থাকলে স্কোয়ার লেগ আম্পায়ারের প্রথম কাজই হচ্ছে হাত তুলে নো বলের ইঙ্গিত দেওয়া। উনি (মারাইস ইরাসমাস) অভিজ্ঞ আম্পায়ার। সরাসরি নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারতেন। তা না করে তিনি রিপ্লে দেখে এবং কোহলি বলার পর নো বল দিলেন। নো বল ছিল কি না সেই বিতর্কে যেতে চাই না। কিন্তু আম্পায়ারের উচিত ছিল তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া।”
নিজের মতামত জানিয়েছেন শোয়েব মালিকও। তাঁর কথায়, “তৃতীয় আম্পায়ারের মতো বিকল্প হাতের সামনেই ছিল। সেটা আগে নেওয়া হল না কেন? এ ধরনের উত্তেজক ম্যাচে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করা উচিত হয়নি। যে কেউ ভুল করতে পারে। কিন্তু আগে তো তৃতীয় আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলা দরকার।” যদিও তাঁদের সম্পূর্ণ বিপরীত কথা বললেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক।