বিরাট কোহলি। — ফাইল চিত্র।
মেলবোর্নে ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ টেস্ট। তার আগের দিন ভারতের অনুশীলনে ছুটি। সেই ফাঁকে মেলবোর্নে বড়দিন পালন করতে বেরিয়ে পড়লেন বিরাট কোহলি। স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাকে নিয়ে একটি হোটেলে প্রাতরাশ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
গোলাপি রঙের বড় টিশার্ট এবং ধূসর রংয়ের জিন্স পরে কোহলিকে দেখা গিয়েছে। সঙ্গে অনুষ্কাও মানানসই পোশাক পরেছিলেন। সময় নিয়ে প্রাতরাশ করেন কোহলি। শুধু তা-ই নয়, নিজে থেকে ওই ক্যাফের রান্নাঘরে গিয়ে রাঁধুনিদের সঙ্গে ছবিও তোলেন।
সেই ছবি ওই ক্যাফের সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করা হয়েছে। তারা লিখেছে, “আজ সকালে আমরা তর্ক করছিলাম যে ছুটির দিন আমাদের ক্যাফে মানুষের জন্য খোলা রাখব কি না। তখন কি জানতাম আমরা একটা অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে চলেছি? আমাদের ছোট্ট ক্যাফেতে খেতে এসেছিলেন বিরাট কোহলি এবং অনুষ্কা শর্মা। বিরাট স্যর আমাদের রান্নাঘরে এসে রাঁধুনিদের প্রশংসা করেছেন এবং ছবি তুলেছেন।”
এর আগেও কোহলি এবং অনুষ্কার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। মেলবোর্নের রাস্তায় অনুষ্কার সঙ্গে তিনি হেঁটে যাচ্ছিলেন। আশেপাশে অনেক মানুষ হেঁটে গেলেও এই দম্পতিকে কেউ বিরক্ত করছিলেন না। ভারতে যে দৃশ্য ভাবাই যায় না। কোহলিদের নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঘুরতে হয়।
কিছু দিন আগেই কোহলির ছোটবেলার কোচ রাজকুমার শর্মা জানিয়েছিলেন, ভারত ছেড়ে লন্ডনে সংসার পাতবেন কোহলি। স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা, কন্যা ভামিকা ও পুত্র অকায়কে নিয়ে সেখানেই থাকবেন তিনি। রাজকুমার বলেছিলেন, “কোহলি লন্ডনে যাওয়ার কথা ভাবছে। খুব তাড়াতাড়ি অনুষ্কা, ভামিকা ও অকায়কে নিয়ে সেখানে চলে যাবে ও। ক্রিকেট ছাড়া বাকি সময়টা কোহলি পরিবারের সঙ্গেই কাটাতে ভালবাসে। অবসরের পরে বাকি জীবনটা ও লন্ডনে কাটাতে চায়। সেই কারণেই কোহলি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
হঠাৎ করে কেন লন্ডনে যেতে চান কোহলি? তার জবাবে রাজকুমার জানিয়েছিলেন, সেখানে অনেক স্বাভাবিক ভাবে জীবন কাটাতে পারেন তিনি। সেই কারণেই এই ভাবনা। রাজকুমার বলেন, “লন্ডনে ওর থাকতে ভাল লাগে। ওখানকার পরিবেশ ওদের ভাল লাগে। ভারতে থাকলে যে ভাবে সারা ক্ষণ ওদের নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঘুরতে হয় সেটা লন্ডনে দরকার পড়ে না। ওখানে অনেক স্বাভাবিক ভাবে জীবন কাটাতে পারে ওরা।”