(বাঁ দিকে) অল্লু অর্জুন এবং ৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদে ‘পুষ্পা ২’ প্রিমিয়ারের সময় দুর্ঘটনা (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
‘পুষ্পা ২’-এর প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার ২০ দিন পর জ্ঞান ফিরল আহত শিশুর। দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৪ ডিসেম্বর। দুর্ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয় তাঁর আট বছরের সন্তান। এত দিন ধরে ওই শিশুর শারীরিক অবস্থার সে ভাবে উন্নতি হয়নি। ছিল সংজ্ঞাহীন। মঙ্গলবার বেশি রাতের দিকে ওই শিশুর পিতা জানিয়েছেন, সন্তানের জ্ঞান ফিরেছে।
গত ৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২’-র প্রিমিয়ার ছিল। অভিনেতা অল্লু অর্জুন প্রিমিয়ারের সময় সেখানে উপস্থিত হওয়ার পরেই ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। সে দিনের দুর্ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই শিশু। মঙ্গলবার তার বাবা জানান, সন্তানের জ্ঞান ফিরেছে। পাশে থাকার জন্য তেলঙ্গানা সরকার এবং অল্লুকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। এত দিন ভেল্টিলেশনে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছিল ওই খুদের। তবে এখন জ্ঞান ফেরার পর তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বার করা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
দুর্ঘটনার দিন গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল আট বছরের ওই শিশুকে। প্রথমে দুর্গাবাই দেশমুখ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কেআইএমএস হাসপাতালে। সেখানেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মস্তিষ্কে চোট রয়েছে শিশুর। পদপিষ্টের ঘটনায় কিছু ক্ষণের জন্য মস্তিষ্কে অক্সিজেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তার। শ্বাসপ্রশ্বাসে সহায়তার জন্য নাকে প্রবেশ করাতে হয় নল।
সন্ধ্যা থিয়েটারে দুর্ঘটনার জেরে বাড়ি থেকে অল্লুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পরে অল্লুকে নিম্ন আদালতে পেশ করলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিনেতা। তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে তেলঙ্গানা হাই কোর্ট। ৫০ হাজার টাকার বন্ডে তাঁর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করা হয়। বর্তমানে জামিনে মুক্ত অল্লু। তবে মঙ্গলবার তাঁকে পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হয়। থানায় ডেকে প্রায় ঘণ্টা চারেক ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।