ইডেনে ভারতের অনুশীলন। কারা থাকবেন প্রথম একাদশে? ছবি: পিটিআই।
বুধবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে ভারত। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে খেলতে নামছে তারা। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর তারকা ক্রিকেটারেরা অবসর নিয়েছেন। তার জায়গায় নতুনেরা খারাপ খেলছেন না। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাদের হারিয়েছে ভারত। সেই দলে খুব বেশি বদল হয়নি। বুধবার ভারতের প্রথম একাদশ কেমন হতে পারে?
অভিষেক শর্মা: তরুণ এই ক্রিকেটার ভারতের হয়ে ১২টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে ভাল খেলার পর থেকেই নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছেন। ওপেনিংয়ে তাঁর আগ্রাসী শট খেলার প্রবণতা ওপেনার হিসাবে তাঁর স্থান মজবুত করেছে।
সঞ্জু স্যামসন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে তাঁকে না-নেওয়া নিয়ে যতই বিতর্ক হোক, টি-টোয়েন্টি দলে সঞ্জু নিজের জায়গা পাকা করে ফেলেছেন। পর পর দু’টি টি-টোয়েন্টিতে শতরানের নজির রয়েছে তাঁর। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও ভাল ফর্মে ছিলেন। এর মধ্যেই তিনটি শতরান হয়ে গিয়েছে এই ফরম্যাটে। সঞ্জু দ্বিতীয় ওপেনার হিসাবে খেলবেন।
তিলক বর্মা: অধিনায়ককে বলে নিজেকে টপ অর্ডারে তুলে এনেছিলেন। তার পর থেকেই তিলকের ফর্ম তুঙ্গে রয়েছে। দু’টি শতরান করেছেন এই ফরম্যাটে। খোদ সূর্যকুমার তাঁকে নিজের জায়গা ছেড়ে দিয়ে এক ধাপ নীচে নেমে গিয়েছেন। ইডেন তিনি তিনেই নামতে পারেন।
সূর্যকুমার যাদব: টপ অর্ডার ব্যর্থ হলে সূর্যকুমারের উপর ভারতের ইনিংস টানার দায়িত্ব পড়বে। অতীতে তিনি এই কাজ ভাল ভাবে সামলেছেন। ইডেন এক সময় তাঁর ঘরের মাঠ ছিল। এখন দেখার সেই মাঠে সূর্য জ্বলে উঠতে পারেন কি না।
হার্দিক পাণ্ড্য: টি-টোয়েন্টিতে সহ-অধিনায়কত্বও হারিয়েছেন। তবে গত কয়েক বছরে নতুন করে ক্রিকেটকে চিনতে শেখা হার্দিক সে সব নিয়ে ভাবিত হন না। নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। তিনি পাঁচে নামবেন।
রিঙ্কু সিংহ: এই মাঠ বহু স্মরণীয় ইনিংস দেখেছে। কেকেআর এবং রিঙ্কু এখন আইপিএলে সমার্থক। ঘরের মাঠ ইডেনে তারকা হওয়ার সুযোগ রিঙ্কু নিশ্চয়ই ছাড়তে চাইবেন না।
অক্ষর পটেল: সহ-অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়েছেন এই সিরিজ়ে। রবীন্দ্র জাডেজার বিকল্পও তিনি। বাড়তি দায়িত্ব অক্ষরের থেকে সেরাটা বার করে আনবে, না কি উজ্জীবিত করবে সে দিকে নজর থাকবে।
নীতীশ রেড্ডি: অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট দলে খেলে মন কেড়েছেন। যতগুলি টেস্ট খেলেছেন (৫), তার থেকে কম টি-টোয়েন্টি (৩) খেলেছেন। এ বার এই ফরম্যাটে নীতীশের আস্থার দাম দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
মহম্মদ শামি: সবচেয়ে বেশি নজর থাকবে তাঁর দিকেই। ২০২৩ বিশ্বকাপের পর আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হচ্ছে। রঞ্জি, সৈয়দ মুস্তাক আলি, বিজয় হজারে— ঘরোয়া ক্রিকেটে সব ফরম্যাটেই খেলেছেন। শামিকে প্রমাণ করতে হবে তাঁর মধ্যে খিদে এখনও বেঁচে।
আরশদীপ সিংহ: বাঁহাতি বিকল্প এই ভারতীয় দলে দরকার। সেই জায়গা ভালই পূরণ করতে পারছেন আরশদীপ। গত কয়েক বছর ধরেই টি-টোয়েন্টি দলে তিনি নিয়মিত সদস্য। ইডেনেও তিনি খেলবেন।
বরুণ চক্রবর্তী: কেকেআরের আরও এক ক্রিকেটার, যিনি ইডেনকে হাতের তালুর মতো চেনেন। টি-টোয়েন্টিতে ফেরার পর থেকে বরুণের বলে আগের থেকে অনেক বৈচিত্র এসেছে। নিজের প্রিয় মাঠে তাঁর অস্ত্রে প্রতিপক্ষ ঘায়েল হয় কি না, সেটাই দেখার।