বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
দিল্লির হয়ে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলবেন বিরাট কোহলি। ৩০ জানুয়ারি থেকে রেলওয়েজের বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন তিনি। ১২ বছরেরও বেশি পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে দেখা যাবে তাঁকে। ২০১২ সালের নভেম্বরে শেষ বার উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে গাজিয়াবাদে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলেছিলেন কোহলি। সেই ম্যাচে ১০ জন সতীর্থের কত জনকে এ বার পাশে পাবেন কোহলি?
গৌতম গম্ভীর: ২০১৮ সালে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন অধিনায়ক। গম্ভীর এখন ভারতীয় দলের কোচ। মূলত তাঁর কড়া মনোভাবের জন্যই এক যুগ পর আবার রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলতে হচ্ছে কোহলিকে।
বীরেন্দ্র সহবাগ: ২০১৫ সালে অবসর নিয়েছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার। এখন আর সক্রিয় ভাবে ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত নন তিনি। মাঝেমধ্যে ধারাভাষ্য দেন। সমাজমাধ্যমেও বেশ জনপ্রিয়।
উন্মুক্ত চন্দ: অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক এখনও খেলছেন। তবে তিনি আর ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত নন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার লক্ষ্যে দেশ ছেড়েছেন। উন্মুক্ত এখন আমেরিকার ক্রিকেটার।
মিঠুন মানহাস: ২০১৭ সালে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন মানহাস। এখন কোচিং করান। আইপিএলের অন্যতম দল গুজরাত টাইটান্সের সহকারী কোচ হিসাবে যুক্ত।
পুনিত বিস্ট: কোহলির খেলা শেষ রঞ্জি ম্যাচের এই সতীর্থ এখনও খেলছেন। তবে দিল্লি ছেড়ে বিস্ট এখন মেঘালয়ের ক্রিকেটার। ২০২৩ সাল থেকে তিনি মেঘালয়ের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন।
সুমিত নারওয়াল: ২০১৭ সালে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন নারওয়াল। ক্রিকেটের সঙ্গে এখন কোনও যোগ নেই তাঁর। ৪২ বছরের প্রাক্তন ক্রিকেটার এখন পূর্ণ অবসরজীবন যাপন করছেন।
প্রদীপ সাঙ্গওয়ান: সরকারি ভাবে এখনও অবসর নেননি সাঙ্গওয়ান। ৩৪ বছরের ক্রিকেটার এখন দিল্লি দলের বাইরে। ২০২৩ সালে শেষ দিল্লির হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলেন।
আশিস নেহরা: ভারতীয় দলের প্রাক্তন জোরে বোলারও মাঠে ছিলেন কোহলির খেলা শেষ রঞ্জি ম্যাচে। ২০১৭ সালে অবসর নেন নেহরা। অবসরের পর কোচিং এবং ধারাভাষ্যের সঙ্গে যুক্ত। ২০২৩ মরসুম থেকে তিনি গুজরাত টাইটান্সের হেড কোচ।
ইশান্ত শর্মা: ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন ইশান্ত। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও খেলেন না এখন। তবে এখনও আইপিএল খেলছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। এ বারের নিলামে তাঁকে কিনেছে গুজরাত। ধারাভাষ্যকার হিসাবেও দেখা যায় ইশান্তকে।
বিকাশ মিশ্র: ২০১২ সালের সেই ম্যাচে দিল্লির কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার ছিলেন বিকাশ। ৩২ বছরের ক্রিকেটার গত বছরও রঞ্জি ট্রফিতে খেলেছেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে খেলেছেন শেষ ম্যাচ। অবসর না নিলেও বাঁহাতি স্পিনার এখন দিল্লি দলের বাইরে।
১২ বছর আগে যাঁরা সতীর্থ ছিলেন, তাঁদের কাউকেই রেলওয়েজের বিরুদ্ধে ম্যাচে পাশে পাবেন না কোহলি। দিল্লির তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে মাঠে নামতে হবে তাঁকে। লাল বলের ক্রিকেটে চেনা ফর্মে না থাকা কোহলিও কোচ গম্ভীরের কঠোর মনোভাবের সামনে সুর নরম করতে বাধ্য হয়েছেন।