অল্পের জন্য দ্বিশতরান হল না কোহলি। তাই টপকাতে পারলেন না ওয়ালি হ্যামন্ডকেও। ছবি: পিটিআই
টেস্টে শতরান পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে তিন বছরেরও বেশি। সেটা তো হয়েছেই। দুশো করার দিকেও এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু উল্টো দিকে সতীর্থদের সমর্থন পেলেন না। শেষের দিকে একের পর এক উইকেট পড়তে থাকায় বাধ্য হয়ে বিরাট কোহলিকে আগ্রাসী খেলতে হল। তাতেই উইকেট খোয়ালেন। দুশোর থেকে ১৪ রান আগেই থেমে যেতে হল। তাই টপকানো হল না ওয়ালি হ্যামন্ডকেও। তবে টেস্টে ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি দুশো করার নজির রয়েছে তাঁরই।
শেষ বার কোহলি দুশো করেছিলেন ২০১৯-এর ১১ অক্টোবর, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পুনেতে। তার পর একটিই শতরান করেছেন। মাঝে করোনার কারণে অনেক দিন ক্রিকেট বন্ধ ছিল। তার পরেও কোহলির সেই ছন্দ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে গত বছর এশিয়া কাপে টি-টোয়েন্টিতে শতরান করে খরা কাটান। তার পরে একদিনের ক্রিকেটেও শতরান করেন। টেস্টে শতরান এল ৪০ মাস বা ১২০৫ দিন পরে।
টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি দুশো রানের নজির রয়েছে স্যর ডন ব্র্যাডম্যানের। ৫২টি টেস্ট খেলে ৮০ ইনিংসে তিনি ১২টি দ্বিশতরান করেছেন তিনি। তার পরেই রয়েছেন শ্রীলঙ্কার কুমার সঙ্গকারা। তাঁর ১১টি দ্বিশতরান রয়েছে। ৯টি দ্বিশতরান নিয়ে তৃতীয় স্থানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ব্রায়ান লারা। কোহলি এবং হ্যামন্ড, দু’জনেরই ৭টি করে দ্বিশতরান রয়েছে। তবে কোহলির থেকে কম ইনিংসে ৭টি দ্বিশতরান করার কারণে এগিয়ে রয়েছেন হ্যামন্ড। আর একটি দ্বিশতরান করলেই প্রাক্তন কিউয়ি ক্রিকেটারকে টপকে চতুর্থ স্থানে চলে আসবেন কোহলি।
ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে বীরেন্দ্র সহবাগের ৬টি, সচিন তেন্ডুলকর এবং রাহুল দ্রাবিড়ের ৫টি করে, সুনীল গাওস্করের ৪টি, চেতেশ্বর পুজারার ৩টি দ্বিশতরান রয়েছে।