দুই সতীর্থের উপর রেগে গেলেন কোহলি। এক বার আউটও হয়ে যেতে পারতেন। ছবি: পিটিআই
টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর শতরানের খরা তখনও কাটেনি। নামের পাশে বসেনি তিন অঙ্কের সংখ্যা। তার আগেই দু’-দু’বার মেজাজ হারালেন বিরাট কোহলি। দু’বারই তাঁর সতীর্থদের জন্য। প্রথম বার রবীন্দ্র জাডেজা আউট হওয়ার সময়। তার পরে কেএস ভরতের সঙ্গে রান আউট নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার সময় বেশ রেগে গেলেন কোহলি। তবে রাগ প্রভাব ফেলেনি তাঁর খেলায়। ঠান্ডা মাথায় কোহলি শতরান করেন।
জাডেজার সঙ্গে কোহলির জুটি বেশ জমে গিয়েছিল। দু’জনে মিলে অজি বোলারদের উপর চাপ রেখে রান তুলছিলেন। হঠাৎই জাডেজার খেলায় অতি আগ্রাসন দেখা গেল। চতুর্থ দিনের অষ্টম ওভারের খেলা চলছে তখন। টড মারফির বলে একের পর এক আড়াআড়ি শট খেলছিলেন জাডেজা। ধারাভাষ্যকাররা অবাক হয়ে যান। নন স্ট্রাইকারে থাকা কোহলিও তখন কিছু বুঝতে পারছিলেন না। সেই ওভারেই মিড-অনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান জাডেজা। কোহলি প্রথমে সতীর্থের উদ্দেশে কড়া ভাবে তাকান। তার পরেই হতাশায় মুখ ঘুরিয়ে নেন।
জাডেজার পর খেলতে নেমেছিলেন ভরত। তিনিও কোহলির সঙ্গে বাইশ গজে জুটি জমিয়ে ফেলেছিলেন। ১০৯তম ওভারের সময় তাল কাটে। মারফির বলে লেগ সাইডে ফ্লিক করে দ্রুত একটি খুচরো রান নিতে গিয়েছিলেন কোহলি। তিনি মাঝ পিচে চলে আসার সময় ভরত তাঁকে ফেরত পাঠিয়ে দেন। কোহলি কোনও মতে ক্রিজের ভেতরে ঢোকেন। অল্পের জন্য বেঁচে যান রান আউট হওয়া থেকে। তার পরেই ঘুরে দাঁড়িয়ে ভরতের দিকে কড়া ভাবে তাকান এবং মুখ দিয়ে কিছু বলতে থাকেন।
কোহলির শতরান হওয়ার আগেই অবশ্য আউট হন ভরত। অক্ষর পটেলকে সঙ্গী নিয়ে শতরান পূরণ করেন কোহলি।