আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেবেন সোমবার। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে সোমবার শপথ নিতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনের ভিতরে বসবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আসর। প্রতি বারের মতো এ বছর ক্যাপিটল ভবনের বাইরের উদ্যানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায়নি। অতিরিক্ত ঠান্ডা এবং শৈত্যপ্রবাহের কারণে অনুষ্ঠান ‘আউটডোর’-এ না করে ‘ইনডোরে’ করার কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। সোমবার তাঁর শপথগ্রহণের পরে একটি নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে টিকিটের সর্বোচ্চ দাম ১০ লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৮ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা)।
ট্রাম্পের পাশাপাশি সোমবার আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন জেডি ভান্স। তাঁদের দু’জনের সঙ্গেই নৈশভোজ করা যাবে। ওই নৈশভোজে থাকার জন্য পাঁচ ধরনের টিকিটের বন্দোবস্ত রয়েছে। সর্বোচ্চ ৮.৬৫ কোটি টাকার দু’টি টিকিট রয়েছে। এ ছাড়াও রাখা হয়েছে, ৫ লক্ষ ডলার (৪.৩২ কোটি টাকা), আড়াই লক্ষ ডলার (২.১৬ কোটি টাকা), এক লক্ষ ডলার (৮৬.৫৭ লক্ষ টাকা) এবং ৫০ হাজার ডলারের (৪৩.২৮ লক্ষ টাকা) টিকিট।
কেন এত বহুমূল্য প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নৈশভোজের টিকিট? সোমবার যে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে, তার মূল উদ্দেশ্য অর্থ সংগ্রহ। এর মাধ্যমে যে অর্থ সংগৃহীত হবে, তা নির্দিষ্ট একটি তহবিলে জমা হবে। প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য ন্যূনতম দু’টি টিকিট কিনতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকে টিকিট কেটেও ফেলেছেন।
আমেরিকার আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, সোমবার ট্রাম্পের শপথগ্রহণের দিন শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে ওয়াশিংটনে। এমনকি, ওই দিনের তাপমাত্রা গত ৪০ বছরে সর্বনিম্ন হতে পারে বলেও পূর্বাভাস। ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রবল ঠান্ডায় কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি বা দুর্ঘটনা যাতে না-ঘটে, তা নিশ্চিত করতে অনুষ্ঠান ভবনের ভিতরে রোটান্ডায় করা হবে। সেখানে ৭০০-র বেশি মানুষ ঢুকতে পারবেন না। অথচ, ট্রাম্পের শপথগ্রহণে যোগ দেওয়ার জন্য অন্তত ২ লক্ষ ২০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। প্রথম ৭০০ জন ভিতরে বসে অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ পাবেন। বাকিদের জন্য অন্যত্র বড় স্ক্রিনে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে। শপথগ্রহণ শেষ হলে সেখান থেকেও ঘুরে আসবেন ট্রাম্প।